Water logged

জমা জল পেরিয়ে যাতায়াত, ক্ষোভ রুকেশপুরে

এক স্থানীয় বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘গত ৩৫ বছরে এক বার এই দেড়শো মিটার কাঁচা রাস্তায় আধলা ইঁট পড়েছিল। প্রতি বর্ষায় হাঁটু জল জমে যায়, মাস খানেক থাকে। জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয়।’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বলাগড় শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৩০
এ ভাবেই জল পেরিয়ে চলে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

এ ভাবেই জল পেরিয়ে চলে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। বেহাল নিকাশির জন্য জল বেরোতে দেরিও হয় বিস্তর। তাই জমা জল পেরিয়েই যাতায়াতে বাধ্য হন বলাগড়ে সিজা কামালপুর পঞ্চায়েতের রুকেশপুর গ্রামের ঘোষপাড়ার সাতটি পরিবারের বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, আশপাশের রাস্তাগুলি সংস্কার করা হলেও তাঁদের পাড়ার রাস্তাটি সারানো নিয়ে উদাসীন প্রশাসন।

Advertisement

এক স্থানীয় বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘গত ৩৫ বছরে এক বার এই দেড়শো মিটার কাঁচা রাস্তায় আধলা ইঁট পড়েছিল। প্রতি বর্ষায় হাঁটু জল জমে যায়, মাস খানেক থাকে। জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয়।’’ আর এক বাসিন্দার আবার অভিযোগ, ‘‘অনেকবার পঞ্চায়েতে ও প্রধানকে জানানো হয়েছে। কাজ হয়নি। জলে ডোবা রাস্তায় সাপের ছোবলে না মরতে হয় আমাদের!’’ এক মহিলার কথায়, ‘‘আমরা বিজেপি সমর্থক। সেই কারণেই মনে হয়, তৃণমূল আমাদের পাড়ায় কাজ করছে না।’’

এলাাবাসীকে সমর্থন করে জেলা বিজেপির কিসান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক চন্দন সাঁতরা বলেন, “বছর খানেক আগে দেখলাম, পঞ্চায়েত থেকে রাস্তাটা মেপে নিয়ে গেল। তারপরেও বেহাল পড়ে রয়েছে। রাজনীতির র‌ং না দেখে মানুষের কাজ করা উচিত পঞ্চায়েতের। জমা জলে ডেঙ্গির আশঙ্কাও তো রয়েছে।”

তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান মিতা ঘোষ বলেন, “কাজটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’’ আর বলাগড়ের বিডিও নীলাদ্রি সরকারের দাবি, ‘‘রাস্তাটির বিষয়ে জানতে হবে। তবে কোনও রাজনৈতিক কারণে কাজটি হয়নি, এমন নয়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement