—নিজস্ব চিত্র।
বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে। আর এই মিশনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন হাওড়ার ছেলে ইনসা ইরাজ। তিনি ইসরোর বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করেছেন।
চন্দ্রযান ৩ সফল ভাবে চাঁদে অবতরণের পর থেকেই খুশির হাওয়া হাওড়ার শেখপাড়ায়। গত এক সপ্তাহ ধরে ছেলে ইনসা ইরাজের কাজের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করেছে গোটা পরিবার। বুধবার সন্ধ্যায় যখন চন্দ্রযান ৩ অবতরণ করছিল, সেই সময় উত্তেজনায় প্রহর গুনছিলেন বাবা মহম্মদ কামালউদ্দিন ও পরিবারের বাকি সদস্যেরা। ইনসা ইরাজের বাবা জানান, বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিল ইনসা ইরাজ। পার্ক সার্কাস এলাকায় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ২০১৫ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিটেক পাস করেন। এর পর ২০১৬ সালে ইসরোর সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রথম বারেই ১৮ র্যাঙ্ক করেন। তার পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৭ সালের তিনি বিজ্ঞানী হিসাবে ইসরোতে যোগদান করেন। তার পর থেকেই তিনি চন্দ্রযান নিয়ে গবেষণায় সরাসরি যুক্ত হন। থাকেন শ্রীহরিকোটার সরকারি ফ্ল্যাটে। সারা দিন কাজকর্মে ব্যস্ত থাকতেন ঘরের ছেলে। একমাত্র রাতের দিকে মাঝে মাঝে বাবা অথবা মাকে ফোন করে পরিবারের খবর নিতেন। তবে তাঁর কাজকর্ম সম্পর্কে একটি কথাও বলতেন না।
ইরাজের মা নিলুফা বেগম বলেন, ‘‘এই সাফল্য শুধু ছেলের নয়, গোটা টিমের। ইসরোর সব বিজ্ঞানীদের সাফল্য। ইসরোর সব বিজ্ঞানীই আমার সন্তান। আমি চাই ভবিষ্যতে এঁরা আরও এগিয়ে যান।’’ বুধবার ছেলের সাফল্যের পর খুশিতে তিনি নিজে হাতে পোলাও এবং চিকেন রেঁধেছেন নিলুফা। এখন অপেক্ষা করছেন, কবে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবেন। ইরাজের আত্মীয় সিরাজ আহমেদ বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই ইরাজ স্বপ্ন দেখত মহাকাশ গবেষণার। ছবি আঁকত স্পেসশিপের। এখন নাসা ভুলে সব জায়গায় শুধু ইসরোর জয়ধ্বনি। এই টিমে ইরাজ কাজ করায় আমরা গর্বিত।’’