Firecracker Recovery

বাসের ছাদে বস্তা বস্তা বাজি! পাচার আটকে দিল পুলিশ, হাওড়ায় গ্রেফতার তিন

বাসটি কলকাতা থেকে বিহারের দিকে যাচ্ছিল। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় বাসের ছাদ থেকে একটি বস্তা নীচে ছিটকে পড়ে। তার পরেই বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি উদ্ধার হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০৫
Huge amount of firecrackers recovered from Howrah bus.

পুলিশের হাতে গ্রেফতার বাজি পাচারে অভিযুক্ত তিন জন। — নিজস্ব চিত্র।

যাত্রিবোঝাই বাসের ছাদে সারে সারে সাজানো বাজির বস্তা। সবুজ, পরিবেশবান্ধব বাজি নয়। সবই নিষিদ্ধ শব্দবাজি। তাই নিয়েই বাস ছুটছিল রাতের ফাঁকা রাস্তায়। হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তেমনই একটি বাস আটক করল পুলিশ। ওই বাসের চালক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি কলকাতা থেকে বিহারের দিকে যাচ্ছিল। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় গরফা ক্রসিংয়ের রেল সেতুতে বাসের মালপত্র আটকে যায়। ওই সময়েই রাস্তায় ছিটকে পড়ে একটি বস্তা। কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ ছুটে যান বস্তার কাছে। তিনি দেখেন, বস্তার ভিতরে রয়েছে প্রচুর বাজি।

এর পর জগাছা থানায় খবর দেওয়া হয়। বাসের মালপত্র নামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বাস থেকে উদ্ধার করা হয় অন্তত ২,১৪০ কিলোগ্রাম নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এই সূত্রে ধৃতেরা হলেন মুন্না খান, শম্ভু প্রসাদ এবং ফয়জল আলম। তাঁরা বাসের চালক এবং খালাসি। শনিবারই ধৃতদের হাওড়া আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, বাজি পাচারের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বাজি কোথায় বানানো হয়েছে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, জানার চেষ্টা চলছে। কমিশনার আরও জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মালপত্র বহনকারী বাসগুলিতে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব থানার ওসির কাছে সেই মর্মে নির্দেশ গিয়েছে।

কিছু দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের মোচপোলে বেআইনি বাজির কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণ হয়। মোট ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাস থেকে উদ্ধার করা হল বাজি।

আরও পড়ুন
Advertisement