ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি।
দিন পাঁচেক আগেই কিশোরী মেয়েকে দুই মত্ত যুবকের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হতে হয়েছে বাবাকে। উলুবেড়িয়ার সেই ঘটনার পর শুক্রবার নাজিরগঞ্জে মদের আসর বসানোর প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হয়েছেন রবি রাই নামে এক ব্যবসায়ী। অন্তত পরিবার ও স্থানীয়দের একাংশের তেমনই অভিযোগ। এই দুই ঘটনায় বেআইনি মদের কারবার নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হাওড়ায়। এই পরিস্থিতিতে জেলায় মদের ঠেক বন্ধ করার কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আবগারি দফতরেও এ ব্যাপারে সতর্ক করলেন তিনি।
ঘটনাচক্রে, গত বছরই হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ার গজানন বস্তিতে বিষমদ খেয়ে প্রাণ গিয়েছিল ১১ জনের। থানা কাছেই কী ভাবে দিনের পর দিন বেআইনি মদের ঠেক চলল, তা নিয়েও রাজনৈতিক চাপান-উতোরও বিস্তর হয়েছিল জেলায়। সাম্প্রতিক দুই ঘটনার নেপথ্যেও বেআইনি মদের কারবারের যোগ প্রকাশ্যে আসায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। এ প্রসঙ্গে শনিবার ফিরহাদ বলেন, ‘‘নাজিরগঞ্জের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।’’ পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘সব ঠেক বন্ধ করতে হবে। আবগারি দফতরকে আরও অভিযান চালাতে হবে।’’
নাজিরগঞ্জের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাঁকরাইল থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের নাম শিব ছেত্রী ও শত্রুঘ্ন রজক। ধৃতদের শনিবার হাওড়া আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নিহতের দাদা রাজন রাই বলেন, ‘‘অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে আমার ভাইকে। পুলিশের উপর ভরসা আছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি আর পুলিশ যদি মদের ঠেক বন্ধ করতে পারে, তবে ভাইয়ের হত্যার সুবিচার হবে।’’