ডাক পেয়েও দিশাহীন হুগলির বাজি শিল্পীরা
BGBS 2023

সাহায্য কী ভাবে আর কবে: কাটছে না সংশয়

ধনেখালির শিল্পী সাবির মণ্ডল জানান, গত বছর থেকেই তাঁর কারখানা বন্ধ। ১২ জনের মতো শ্রমিক কাজ করতেন। তিনি বলেন, "সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্য সচিব বাজি শিল্প নিয়ে বলেছেন।

Advertisement
সুদীপ দাস
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২৫
সম্মেলনে বাজি শিল্পীরা। নিজস্ব চিত্র

সম্মেলনে বাজি শিল্পীরা। নিজস্ব চিত্র

এ বছরই প্রথম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ডাক পেয়েছিলেন হুগলির বাজি শিল্পীরা। বুধবার কলকাতায় রাজ্য সরকার আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাজি শিল্পের সাথে যুক্ত ন’জন শিল্পী। প্রত্যেকেই সরকারি ভাবে ‘সবুজ বাজি’ তৈরির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সরকারের আমন্ত্রণে উৎসাহ বাড়লেও ওই অনুষ্ঠান থেকে সে ভাবে আশার আলো মেলেনি বলে শিল্পীদের অভিযোগ।

Advertisement

ডাক পাওয়া ন'জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির রাজ্য সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না এবং জেলা সম্পাদক সন্দীপ বসু ছাড়া সকলেই বাজি শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। কিন্তু সাধারণ আতশ বাজি বন্ধের নির্দেশের পরে গত বছর থেকে তাঁরা কারখানায় তালা ঝোলান। চলতি বছর জুলাই মাসে সরকারি ভাবে হুগলি জেলায় পরিবেশ বান্ধব 'সবুজ বাজি' তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। হুগলির ২৯ জন প্রশিক্ষণ নিয়ে শংসাপত্র হাতে পান। তাঁদের মধ্যে থেকেই সাত জন বঙ্গের বাণিজ্য সম্মেলনে ডাক পান।

ধনেখালির শিল্পী সাবির মণ্ডল জানান, গত বছর থেকেই তাঁর কারখানা বন্ধ। ১২ জনের মতো শ্রমিক কাজ করতেন। তিনি বলেন, "সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্য সচিব বাজি শিল্প নিয়ে বলেছেন। কিন্তু আমাদের কারও বলার সুযোগ হয়নি। আমাদের পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে সরকার সাহায্য করবে বলা হয়েছে। কিন্তু সাহায্যের পরিমাণ কতটা কিংবা কী ভাবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। কাজেই কবে থেকে উৎপাদন চালু করতে পারব সেটাও জানি না।’’ সন্দীপ বলেন, ‘‘রাজ্যের ডাকে বাজি শিল্প বাঁচানোর খানিক আশা জেগেছে বটে। কিন্তু কবে, কী ভাবে— তার কোনও দিশা মেলেনি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বাণিজ্য সম্মেলনে এই শিল্প বাঁচাতে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ নিয়ে সবুজ বাজির শংসাপত্র পেলেই হল না, এরপরে শিল্পীদের জাতীয় পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণা ইনস্টিটিউটে (এনইআরআই) আবেদনের ভিত্তিতে ‘সবুজ বাজি’র কিউআর কোড মেলে। তারপরে সব কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের দফতরে বাজি তৈরির আবেদন করতে হয়। জেলাশাসকের ছাড়পত্র মিললেই উৎপাদন শুরু করার সম্মতি মেলে। সম্মেলনে যাওয়া শিল্পীদের অভিযোগ, পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরিতে জোর দেওয়া হলেও সেখানে ছাড়পত্র মেলার বিষয়েও কোনও আলোচনা হয়নি।

হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, 'সবুজ বাজি' তৈরির জন্য প্রশাসন পাশে আছে। কিউআর কোড মেলার পরে কেউ সঠিক পদ্ধতি মেনে আবেদন করেও ছাড়পত্র না পেলে অফিসে এসে যাচাই করতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement