Women Found dead

পরিত্যক্ত ঘরে যুবতীর নগ্ন দেহ, সন্দেহ ধর্ষণ করে খুন

পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের বক্তব্য, দেহ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। ফলে, দেহে আপাতদৃষ্টিতে কোনও আঘাতের চিহ্ন বোঝা যায়নি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫২
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নবমীর সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে পুজো দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন হুগলির একটি শহরের বছর তেইশের এক যুবতী। দু’সপ্তাহ পরে তাঁর পচাগলা নগ্ন দেহ মিলল এই জেলারই অন্য এক শহরে গঙ্গার অদূরে একটি পুরনো বাড়ির জঙ্গলঘেরা পরিত্যক্ত ঘর থেকে। পাশে পড়েছিল সালোয়ার-কামিজ, ব্যাগ। যুবতীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের বক্তব্য, দেহ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। ফলে, দেহে আপাতদৃষ্টিতে কোনও আঘাতের চিহ্ন বোঝা যায়নি। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। প্রয়োজনে তখন নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে। বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিয়োগ্রাফি করে দেহের ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। যুবতীর বাড়ির লোকেদের দাবি, দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়না-তদন্তের সময় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, এলাকাবাসীর থেকে খবর পেয়ে সোমবার রাতে ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ দেখে তদন্তকারীদের ধারণা, ওই যুবতী মারা যান বেশ কয়েক দিন আগে। পাশে পড়ে থাকা ব্যাগ থেকে আধার কার্ডের ফটোকপি দেখে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।

যুবতীর দাদা জানান, নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পরে তাঁরা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাঁর কথায়, ‘‘যে শহর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, বোনের মোবাইল ফোনের টাওয়ার সেখানেই দেখিয়েছিল। তবে বোনের সন্ধান মেলেনি। বোনকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ দোষীকে ধরে উপযুক্ত সাজার ব্যবস্থা করুক।’’

ওই যুবতী যে এলাকার বাসিন্দা ছিলেন, সেখানকার এক পুরপ্রতিনিধি (কাউন্সিলর) বলেন, ‘‘যে অবস্থায় দেহটি পাওয়া গিয়েছে, তাতে ধর্ষণ করে খুন বলেই মনে হচ্ছে। যুবতী ওই নির্জন জায়গায় কী ভাবে পৌঁছলেন, তাঁকে কে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল, পুলিশ তদন্ত করে বের করুক। দোষীর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’

আরও পড়ুন
Advertisement