Fraudulence

চাকরির নামে প্রতারণায় অভিযুক্ত এডিআই

১০ লক্ষ টাকা নিয়েও অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বনমালী জানা স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরি করে দেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন উলুবেড়িয়ার হিরাগঞ্জের বাসিন্দা রূপা পাঁজা সামন্ত।

Advertisement
সুব্রত জানা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫১
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল হাওড়ার অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (এডিআই) বিরুদ্ধে।

Advertisement

১০ লক্ষ টাকা নিয়েও অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বনমালী জানা স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরি করে দেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন উলুবেড়িয়ার হিরাগঞ্জের বাসিন্দা রূপা পাঁজা সামন্ত। টাকাও ফেরত পাননি বলে তাঁর দাবি। অভিযোগ নিয়ে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, মহকুমাশাসক ও পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ মানেননি বনমালী।

বনমালীর দাবি, ‘‘ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। এই সুযোগ নিয়ে আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু জানা নেই। এই বিষয়ে কোনও কথা বলব না।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় পাল অবশ্য বলেন, “বনমালীবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে। তদন্তও শুরু হয়েছে।”

রূপা জানান, ২০১৬ সালে তিনি স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে পরীক্ষার ফল বেরোয়। উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তাঁর স্বামী অচিনকুমার সামন্ত উলুবেড়িয়ার একটি হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তাঁর সঙ্গে বনমালীর পরিচয় ছিল।

অচিনের দাবি, স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে বনমালীর সঙ্গে কথা বলতেই তিনি জেলা অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের ‘কোটা’য় চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ২০২১ সালের প্রথম দিকে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাঁরা। কিন্তু পুরো টাকা না দিলে নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে বনমালী জানানোয় তাঁরা টাকা ধার করে ও গয়না বিক্রি করে বাকি টাকা জোগাড় করে দেন।

রূপা জানান, ২০২১-এর শেষ দিকে কুলগাছিয়া শ্রীকৃষ্ণপুর চিত্তরঞ্জন হাই স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে সুপারিশপত্র দেন বনমালী। সেই চিঠি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাভ হয়নি। এই ধরনের কোনও নির্দেশ বা চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ পাননি বলে জানান ওই প্রধান শিক্ষক।

রূপা বলেন, “বিষয়টি বনমালীবাবুকে জানালে তিনি নিজে গাড়ি করে সল্টলেকে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নিয়ে যান। সেখানে নিজে হাতে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। পরে বারবার নিয়োগপত্র পাওযার আশ্বাস দেন। শেষে এ বার পুজোর পরে নিয়োগপত্র পাব বলে জানিয়েছিলেন। পাইনি। এখন বনমালীবাবুর সাঙ্গে যোগাযোগ করলে হুমকি শুনতে হচ্ছে। টাকা নেওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করছেন।”

আরও পড়ুন
Advertisement