Children Education Center

শিক্ষিকা নেই, বন্ধের মুখে শিক্ষা কেন্দ্র

সমস্যা দেখা দেয় ২০১০ সালের পর থেকে শিক্ষিকা নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। এক দিকে অনেক শিক্ষিকার অবসরের সময় হয়ে যায়।

Advertisement
নুরুল আবসার
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩১
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

শিক্ষিকার অভাবে পর পর ঝাঁপ বন্ধ হচ্ছে হাওড়া জেলার শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলির। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়নি। তার ফলেই এই হাল বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানান, যে হারে শিক্ষিকা কমছে, তা চলতে থাকলে দু’তিন বছরের মধ্যে সব কেন্দ্র বন্ধই হয়ে যাবে!

Advertisement

হাওড়ায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলি চালু হয়েছিল ২০০০ সালের গোড়ায়। সে সময়ে বাম সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যে সব এলাকায় এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও প্রাথমিক স্কুল নেই, সেখানে একটি করে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র গড়া হবে। ২০ জন পড়ুয়া পিছু এক জন করে শিক্ষিকা নেওয়া হয়। শিক্ষিকাদের যোগ্যতা ছিল, ন্যূনতম মাধ্যমিক পাশ এবং চল্লিশোর্ধ্ব বয়স। এক একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়ার সংখ্যার অনুপাতে এক থেকে চার জন পর্যন্ত শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়।

সমস্যা দেখা দেয় ২০১০ সালের পর থেকে শিক্ষিকা নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। এক দিকে অনেক শিক্ষিকার অবসরের সময় হয়ে যায়। অন্য দিকে, নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষিকার সংখ্যা কমতে থাকে। এরপর থেকেই একে একে ঝাঁপ বন্ধ করতে শুরু করে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলি। বন্ধ হয়ে যাওয়া কেন্দ্রের পড়ুয়ারা কাছাকাছি প্রাথমিক স্কুলে চলে যেতে শুরু করে।

প্রথমে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলি পঞ্চায়েতের হাতে থাকলেও ২০২০ সালে সেগুলি চলে আসে শিক্ষা দফতরের হাতে। তাতেও শিক্ষক নিয়োগের সমস্যা মেটেনি। উল্টে, স্কুলগুলিকে ফের পঞ্চায়েত দফতরের হাতেই ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, এই টানাপড়েনেই কেন্দ্রগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ আটকে গিয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুলেখা পাঁজার প্রতিক্রিয়া, ‘‘নিয়োগের ব্যাপারটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িয়ে। এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন