Balagarh Mini Port

বন্দরের জন্য জমি দিতে কমিটি বলাগড়ে

স্থানীয় বাসিন্দাদের খেদ, ১৯৭৬ সালে বন্দর করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ’৯৬ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির জন্য সিইএসসি ওই এলাকায় কিছু জমি কিনেছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বলাগড় শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ০৯:১৭
ভবানীপুর চর এলাকায় চলছে কৃষকদের আলোচনা। ছবি: বিশ্বজিৎ মণ্ডল

ভবানীপুর চর এলাকায় চলছে কৃষকদের আলোচনা। ছবি: বিশ্বজিৎ মণ্ডল biswajitmondal092022@gmail.com

হুগলির বলাগড়ের ভবানীপুর চরে মিনি বন্দর তৈরির পরিকল্পনা করেছেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত প্রকল্প হবে ৩০০ একর জমিতে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। চাষিদের একাংশ জানিয়েছেন, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ মিললে তাঁরা জমি দিতে প্রস্তুত। ১৭ জনের কমিটিও গড়ে ফেললেন তাঁরা।

Advertisement

প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় জমি থাকা দু’শোর বেশি চাষি রবিবার বিকেলে ওই জায়গায় বৈঠক করেন। ন্যায্য দাম এবং পরিবারের এক জনের চাকরির আশ্বাস পেলে জমি ছাড়তে আপত্তি নেই বলে অনেকেই জানান। সভায় একটি কমিটি করা হয়েছে। নাম ‘কৃষক সমণ্বয় কমিটি’। কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল ঘোষ নামে এক কৃষক জানান, তাঁদের দাবিদাওয়া লিখিত ভাবে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক অফিস-সহ বিভিন্ন দফতরে জমা দেওয়া হবে। উজ্জ্বলের কথায়, ‘‘বন্দর হোক। বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন, তাঁরা
এসে এক বার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন।’’

বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘ওঁরা বক্তব্য আগে লিখিত ভাবে জমা দিন, তারপর দেখা হবে।’’

স্থানীয় বাসিন্দাদের খেদ, ১৯৭৬ সালে বন্দর করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ’৯৬ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির জন্য সিইএসসি ওই এলাকায় কিছু জমি কিনেছিল। কিন্তু, বাজারমূল্য অনুযায়ী দাম দেওয়া হয়নি। দু’টির একটি প্রকল্পও হয়নি। ফলে, কাজও মেলেনি।

জয়ন্ত সরকার নামে এক কৃষকের দাবি, বন্দর কর্তৃপক্ষ ১০ বিঘা জমি নিয়েছিলেন ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে। তখন এলাকায় জমির দাম বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ছিল। সিইএসসি ১২ বিঘা জমি নিয়েছিল বিঘাপ্রতি ৩৩ হাজার টাকায়। অথচ, জমির বাজারদর দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘জমি বিক্রি করে আমরা ঠকেছি। বন্দর হলে আপত্তি নেই। তবে, নির্দিষ্ট দাম যেন দেওয়া হয়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement