Library at panchayat Office

পঞ্চায়েত ভবনে গ্রন্থাগার, ভিড় বাড়ছে বইপ্রেমীদের

গ্রন্থাগারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বসে পড়ার জন্য চেয়ার-টেবিল আছে। ছুটির দিন বাদে প্রতি দিন বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা থাকে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়পুর  শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৪
খালনা পঞ্চায়েতের গ্রন্থাগারে ভিড় বইপ্রেমীদের। নিজস্ব চিত্র

খালনা পঞ্চায়েতের গ্রন্থাগারে ভিড় বইপ্রেমীদের। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP

পঞ্চায়েত কার্যালয়ে রমরমিয়ে চলছে গ্রন্থাগার। পঞ্চদশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমশনের সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে সেটি তৈরি করেছে পঞ্চায়েতেরই উদ্যোগে। এমন উদ্যোগ হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের খালনা পঞ্চায়েতের।

Advertisement

গ্রন্থাগারটি চালু হয় প্রায় এক বছর আগে। রয়েছে প্রায় পাঁচশো বই। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি রাখা হয়েছে গল্প, উপন্যাস। নিয়িমিত পাঠকের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। তাঁরা বছরে পঞ্চাশ টাকা চাঁদা দিয়ে গ্রাহক হয়েছেন। গ্রাহকদের মধ্যে আছেন ছাত্রছাত্রীরাও। এলাকার বহু যুবক সোনার কাজ করতে যান আরব মুলুকে। তাঁরাও এই গ্রন্থাগারের সদস্য হয়েছেন। বিদেশে যাওয়ার সময় ওই সব পরিযায়ী শ্রমিক এখান থেকে বই নিয়ে যান। বইয়ের দাম বাবদ টাকা রেখে যান জামানত হিসাবে।

পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার সানা বলেন, ‘‘বিদেশে কাজের ফাঁকে ওই যুবকেরা সময় কাটানোর জন্য বই পড়েন। ফেরার সময় সেগুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন। ফেরত দিয়ে নতুন বই নিয়ে যান।’’

গ্রন্থাগারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বসে পড়ার জন্য চেয়ার-টেবিল আছে। ছুটির দিন বাদে প্রতি দিন বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা থাকে। গ্রন্থাগারিকের দায়িত্ব সামলান পঞ্চায়েতেরই এক জন কর্মী।

কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের টাকায় যে সব কাজ করতে হয়, তার নির্দেশিকা আছে। তার মধ্যে গ্রন্থাগার নেই। তা হলে এখানে হল কী ভাবে? হাওড়ার বিদায়ী জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘পঞ্চদশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের নিঃশর্ত তহবিলের টাকায় পঞ্চায়েত প্রস্তাব অনুমোদন করিয়ে এই কাজ করতে পারে। খালনা পঞ্চায়েত এটাই করেছে।’’

খালনা পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি বা বেসরকারি গ্রন্থাগার ছিল না। এলাকার বইপ্রেমী মানুষ এবং ছাত্রছাত্রীদের অন্যত্র যেতে হয় বই পড়তে। বইপ্রেমী এবং পড়ুয়াদের কথা ভেবেই গ্রন্থাগার তৈরির উদ্যোগ, জানান নবকুমার। তাঁর বক্তব্য, গ্রন্থাগারের কথা যখন তাঁর মাথায় আসে, তখন তিনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন না। এক জন সামান্য রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। গ্রন্থাগারের ভাবনার কথা তিনি এলাকার বিধায়ক সুকান্ত পালকে জানান। বিধায়ক ওই প্রস্তাব লুফে নেন। পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে যা করণীয়, তা করেন। বিধায়কের কথায়, ‘‘প্রস্তাবটি অভিনব। আমার বিধানসভা এলাকার ১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে খালনা
বাদে এমন প্রস্তাব অন্য কোনও
জায়গা থেকে আসেনি। এটি যাতে
দ্রুত রূপায়িত হয় তার জন্য পঞ্চায়েতকে বলি।’’

প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রন্থাগারের ঘর হয়। বইও কেনা হয়েছে অর্থ কমিশনের টাকায়। গ্রন্থাগার উব্দোধন করেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘আরও বইয়ের ব্যবস্থা করব। শীঘ্র এটিকে স্মার্ট গ্রন্থাগারে উন্নীত করা হবে। সমাজের অন্ধকার দূর করতে গ্রন্থাগারের বিকল্প নেই।’’

আরও পড়ুন
Advertisement