—প্রতীকী ছবি।
নবমীর রাতে পাড়ার পুজো প্যান্ডেলে বচসা হয়েছিল। মারধরও করা হয়েছিল। সেই থেকে মানসিক অবসাদে ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। রবিবার সকালে সেই প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ অধিকারী (৪৮)-এর দেহ উদ্ধার হল। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর দেহ।
মগরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গজঘণ্টা এলাকা বাসিন্দা অভিজিৎ। মগড়া ২ পঞ্চায়েতে ২০০৮-’১৩ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি এখনও দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, নবমীর দিন স্থানীয় পুজো মণ্ডপে গিয়েছিলেন অভিজিৎ। সেখানে সিগারেট খাচ্ছিলেন। সেই সময় তাপস অধিকারী-সহ তিনজনের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। তার পর তাঁকে মারধরও করেন ওই চার জন ক্লাব সদস্য। তাঁরা তৃণমূলের সদস্য। এর পর থেকেই অবসাদগ্রস্ত ছিলেন অভিজিৎ। রবিবার সকালে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারে।
পরিবার সূত্রে খবর, একটা সুইসাইড নোটও মিলেছে। অভিজিতের বন্ধুদের দাবি, অভিযু্ক্তদের প্ররোচনাতেই আত্মঘাতী হয়েছেন প্রাক্তন সদস্য। পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। মগড়া থানার পুলিশ মমলা রুজু করে ঘটনা খতিয়ে দেখছে। হুগলি জেলা তৃণমূল সাধারন সম্পাদক রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। যিনি মারা গিয়েছেন, তিনিও তৃণমূল করতেন। পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। পুলিশ তদন্ত করুক। কেউ দোষী হলে দল তাঁকে রেয়াত করবে না।’’