Serampore Heritage Sites

স্থাপত্য দেখতে হাজির আলাপন, হান্না হাউসে না-যাওয়ায় খেদ

শ্রীরামপুর কলেজ, হেনরি মার্টিনস প্যাগোডা, মাহেশ জগন্নাথ মন্দির, উইলিয়াম কেরির সমাধি, সেন্ট ওলাভ গির্জা, ডেনিস গভর্নমেন্ট হাউস ইত্যাদি জায়গায় যান আলাপন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৮
শ্রীরামপুর কলেজে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

শ্রীরামপুর কলেজে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে মাহেশে পর্যটন ঢেলে সাজতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। শ্রীরামপুরে ডেনিস আমলের কিছু স্থাপত্যকে পুনরুদ্ধারও করা হয়েছে। শনিবার সেই সব জায়গা ঘুরে দেখলেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে,জরাজীর্ণ হান্না হাউসে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সেখানে না যাওয়ায় হতাশ শহরের অনেকে।

Advertisement

এ দিন শ্রীরামপুর কলেজ, হেনরি মার্টিনস প্যাগোডা, মাহেশ জগন্নাথ মন্দির, উইলিয়াম কেরির সমাধি, সেন্ট ওলাভ গির্জা, ডেনিস গভর্নমেন্ট হাউস ইত্যাদি জায়গায় যান আলাপন। সঙ্গে ছিলেন শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক শম্ভুদীপ সরকার। জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন আলাপন। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে পিয়াল অধিকারী জানান, মন্দিরের সংস্কারের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। তবে, সিংহ দরজা সংস্কারের টেন্ডার হয়নি। এই বিষয়ে এবং প্রস্তাবিত অতিথিশালা করা নিয়ে আলাপনকে জানানো হয়।

আলাপন বলেন, ‘‘দাবি মতো বেশ কিছু স্থাপত্যকে আগেই হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও বেশ কিছু বাকি আছে। সরকারি তরফে বেশ কয়েকটি হেরিটেজ স্থাপত্যকে সংস্কার করা হয়েছে। যেগুলির কাজ বাকি আছে, সেগুলি নজরে আছে।’’ এ জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থারও আশ্বাস দেন তিনি।

জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর মিশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে থাকা হান্না হাউসেও এ দিন আলাপনের যাওয়ার কথা ছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সোনালি, সভাপতি জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, অন্য শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী, ওই জায়গায় চলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কর প্রমুখ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন। তবে, বিকেল পাঁচটার কিছু পরে ওই স্কুলের সামনে দিয়ে চলে গেলেও আলাপন ভিতরে ঢোকেননি। সোনালি, জয়দীপদের বক্তব্য, ‘‘উনি শেষ পর্যন্ত না আসায় আমরা হতাশ হয়েছি।’’

বাংলায় নারীশিক্ষার নবজাগরণে হান্না হাউসের ভূমিকা অপরিসীম। শ্রীরামপুর-ত্রয়ীর অন্যতম জ্যোশুয়া মার্শম্যানের স্ত্রী হান্না মার্শম্যানের হাত ধরে এখানে মেয়েদের জন্য প্রথম বিদ্যালয় চালু হয়েছিল। কালক্রমে বাড়িটি জীর্ণ হয়ে পড়ে। ভবনটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি পৌঁছয় হেরিটেজ কমিশনের কাছে।

প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, সময়ের অভাবে আলাপন হান্না হাউসে না ঢুকলেও যাবতীয় তথ্য জেনে নিয়েছেন। যেতে পারেননি এমন আরও কিছু ভবনের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত ভাবে খোঁজখবর নেন।

শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা বলেন, ‘‘হান্না হাউস সংস্কারের জন্য পুরসভার তরফে ডিপিআর তৈরির অনুমতি চাওয়া হয়েছিল হেরিটেজ কমিশনের কাছে। ওই দফতরের সবুজ সঙ্কেত পেলেই ডিপিআর তৈরি করব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement