Potato farming

আলুর ফলন বাড়াতে নয়া পদ্ধতির দিশা চাষিদের

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অ্যাপিক্যাল রুটেড কাটিং পদ্ধতিতে ১ টাকা দামের একটা চারা থেকে ১০০টি চারা তৈরি করা যাবে। প্রতিটা চারা থেকে অন্তত ১০টা করে আলুবীজ কন্দ হতে পারে।

Advertisement
পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:২৯
আধুনিক পদ্ধতিতে আলুবীজ চাষ। গোঘাটের তেলিগ্রামে।

আধুনিক পদ্ধতিতে আলুবীজ চাষ। গোঘাটের তেলিগ্রামে। নিজস্ব চিত্র ।

আলুবীজে পঞ্জাব নির্ভরতা কমাতে গত চার বছর ধরে ধনেখালির দশঘড়া, গোঘাট, আরামবাগে জাল ঘিরে ভাইরাসমুক্ত বীজ তৈরি চলছে। কিন্তু জেলায় আলু চাষের এলাকার তুলনায় ওই পদ্ধতিতে বীজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল কম। সেই উৎপাদনকে ১০০ গুণ বাড়াতে ‘অ্যাপিক্যাল রুটেড কাটিং (এআরসি)’ পদ্ধতি সরাসরি চাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হল।

Advertisement

কী এই পদ্ধতি?

জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা নবারুণ চক্রবর্তী বলেন, “গত চার বছর ধরে ল্যাবরেটরিতে টিস্যু কালচার করা মাইক্রোপ্ল্যান্ট থেকে আমরা আলুর বীজ কন্দ পাচ্ছিলাম। এ বার সরাসরি চারাটাই কাটিং পদ্ধতিতে চারার সংখ্যা বাড়িয়ে এবং সেটা নেট হাউসের মধ্যে চাষ করে জীবাণুমুক্ত বেশি বীজ কন্দ উৎপাদন করা হচ্ছে।’’ এর ফলে চাষিরা অল্প সময়ে উন্নত মানের বেশি বীজ উৎপাদন করতে পারবেন এবং বীজের খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলে তিনি জানান।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অ্যাপিক্যাল রুটেড কাটিং পদ্ধতিতে ১ টাকা দামের একটা চারা থেকে ১০০টি চারা তৈরি করা যাবে। প্রতিটা চারা থেকে অন্তত ১০টা করে আলুবীজ কন্দ হতে পারে। ফলে ১০০ চারা থেকে ১ হাজার আলুবীজ কন্দ পাওয়া যাবে। যা গত চার বছর ১ টা গাছ থেকে ১০টি করেই কন্দ মিলছিল। রাজ্য সরকারের সঙ্গে মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে ইন্টারন্যাশনাল পোট্যাটো সেন্টারের এই কারিগরি সব জেলাতেই চালু হয়েছে। বাংলার নিজস্ব এই ব্রান্ডের নাম ‘ভাইরাস মুক্ত হাইটেক বঙ্গশ্রী বীজ’।

বীজ উৎপাদনে গতি আনতে জেলা মোট ৯১ টি নেট হাউস হয়েছে। এর বাইরেও কিছু চাষ করছেন চাষিরা। প্রথম বার মোট ৫৩ হাজার অ্যাপিক্যাল রুটেড কাটিং চারা দেওয়া হয়েছে উদ্যোগী কৃষকদের। আগামী বছর লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫ লক্ষ চারা দেওয়ার। আগামী বছর চারেকের মধ্যে জেলা আলুবীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেকটাই স্বনির্ভর হতে পারবে বলে আশা জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার।

জেলায় এই বীজ উৎপাদন নিয়ে চাষিরা আশার আলো দেখছেন। অনেক আলু চাষি জানিয়েছেন, পঞ্জাব বা হরিয়ানা থেকে আমদানি বীজ কিনতেই চাষির প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যয় হয়ে যায়। তার উপর সেই বীজের নিশ্চয়তা নেই। তিন থেকে চার হাজার টাকা দরে বীজ কিনেও অধিকাংশ সময়েই ঠকতে হয়। এ বার নিজেরাই ভাইরাস মুক্ত বীজ তৈরি করা যাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement