Santragachi Lake

সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ নিয়ে ফের দায়ের মামলা

বৃহস্পতিবার মামলার প্রথম শুনানি ছিল। সেখানেই আদালত প্রশ্ন তোলে, নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে দেওয়ার পরেও কেন এসটিপি তৈরি হল না? কেনই বা সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁতরাগাছি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ০৬:০১
An image of Santragachi Lake

উপযুক্ত সময়ে পরিষ্কার করা হয়নি সাঁতরাগাছি ঝিল। এখনও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে। —ফাইল চিত্র।

সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ কমাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়ে ছ’বছর ধরে চলা মামলার নিষ্পত্তি বছরখানেক আগেই করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। তরল বর্জ্য সরাসরি জলে মেশা আটকাতে হাওড়া পুরসভাকে নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট (সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা এসটিপি) তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তা তৈরি হয়নি। এই দাবিতে ফের মামলা দায়ের হয়েছে পরিবেশ আদালতে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। সেখানেই আদালত প্রশ্ন তোলে, নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে দেওয়ার পরেও কেন এসটিপি তৈরি হল না? কেনই বা সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি? মামলাকারীর আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলায় যুক্ত রাজ্য সরকার, রেল, হাওড়া পুরসভা, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ-সহ সব পক্ষকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত জানাচ্ছেন, ঝিলের দূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০১৭ সালে নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত বছরের জুলাইয়ে মামলার রায় ঘোষণা করে বলা হয়, আগামী চার মাসের মধ্যে ওই এসটিপি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘তার পরেও সেই প্লান্ট তৈরি হয়নি। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ পালন না করাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।’’

সাত বছর আগে, ২০১৬ সালে সাঁতরাগাছি ঝিল নিয়ে মামলা হয়েছিল পরিবেশ আদালতে। দীর্ঘ ছ’বছর সেই মামলা চলার পরে ২০২২ সালের জুলাইয়ে তার নিষ্পত্তি করে আদালত। আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি বলে ফের মামলা হয়েছে। এই মামলা আবার কত দিন চলবে, ঝিলের দূষণ কমাতে রাজ্য সরকার আদৌ সক্রিয় হবে কি না, আপাতত এই সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে পরিবেশবিদ মহলের একাংশে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ সেপ্টেম্বর।

আরও পড়ুন
Advertisement