TMC-BJP Conflict

তৃণমূল নেতাদের মারধরে গ্রেফতার তিন বিজেপি কর্মী

একশো দিনের কাজের প্রকল্পের শ্রমিকদের বকেয়া সংক্রান্ত তৃণমূলের পৃথক সহায়তা শিবির ঘিরে মারধরের ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকালে। ঠাকুরানিচকের ওই ঘটনায় অভিযোগ ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
খানাকুল শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:০৮
An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

খানাকুলের চিংড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান কার্তিক ইশর ও নেতা সন্ন্যাসী সাঁতরাকে মারধরের ঘটনায় সোমবার রাতে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম মেঘনাদ দোলুই, শুভাশিস সাঁতরা এবং শ্যামল সাঁতরা। মঙ্গলবার ধৃতদের আরামবাগ আদালতে তোলা হলে মেঘনাদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকি দু’জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বিজেপি নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য কালীপদ অধিকারী বলেন, “একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। অকারণে আমাদের দলের নাম নেতা-কর্মীদের নাম জড়ানো হয়েছে।’’

Advertisement

একশো দিনের কাজের প্রকল্পের শ্রমিকদের বকেয়া সংক্রান্ত তৃণমূলের পৃথক সহায়তা শিবির ঘিরে মারধরের ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকালে। ঠাকুরানিচকের ওই ঘটনায় অভিযোগ ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূলের বাইক বাহিনী যেমন এলাকা সন্ত্রস্ত্র করছে, তেমনই বিজেপিও মিছিল করে প্রভাব দেখাচ্ছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেট ও টহলদারি জারি আছে।

এ দিকে, সোমবার রাতে স্থানীয় রঞ্জিতবাটী গ্রামে বিজেপি কর্মীদের আয়োজিত সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রমেন প্রামাণিক বলেন, “কার্তিককে মারধরের পাল্টা অভিযোগের রাস্তা খুঁজতে বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে নিজেদের মণ্ডপে আগুন লাগিয়েছে।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, মঙ্গলবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন চব্বিশপুরে বিজেপি মাইক বাজিয়ে মিছিল করেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement