TMC

আচমকাই পরীক্ষা ঘোষণা, সিলেবাস অজানা, তৃণমূলের নতুন দুই সাংসদ বিশেষ অধিবেশনের জন্য কি তৈরি?

সামিরুল ইসলাম এবং প্রকাশ চিক বরাইক শুধুমাত্র রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নিয়েছেন। অধিবেশন নিয়ে তাঁদের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কারণ, বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে তাঁদের শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৩৬
TMC

(বাঁ দিকে) প্রকাশ চিক বরাইক। সামিরুল ইসলাম (ডান দিকে)। —গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

সদ্য সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আচমকাই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ঘোষণা করেছেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে। সেখানে কী হবে, তা নিয়ে এখনও খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে। যা নানা ধরনের জল্পনাকে গভীর করছে। যে জল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন দলের সাংসদেরা তাঁদের রণনীতি সাজাচ্ছেন। কিন্তু এই বিশেষ অধিবেশন হঠাৎ ঘোষিত পরীক্ষার মতো হাজির হয়েছে তৃণমূলের টিকিটে সদ্য রাজ্যসভায় যাওয়া নতুন সাংসদদের কাছে। তাঁরা না জানেন সিলেবাস, না জানেন পরীক্ষার প্রক্রিয়া। শুধু জানেন পরীক্ষার তারিখ আর কোথায় সেই পরীক্ষা হবে!

Advertisement

সম্প্রতি বাংলা থেকে খালি হওয়া সাতটি রাজ্যসভা আসনে তৃণমূলের ছ’জন গিয়েছেন সংসদের উচ্চকক্ষে। তাঁদের মধ্যে আবার তিন জন নতুন। সেই নতুনদের মধ্যে অন্যতম সামিরুল ইসলাম এবং প্রকাশ চিক বরাইক। যাঁরা শুধুমাত্র শপথ নিয়েছেন। কিন্তু সংসদের অধিবেশন নিয়ে তাঁদের আগের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কারণ, সংসদের বাদল অধিবেশন শেষের পর তাঁদের শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল।

সংসদের বিশেষ অধিবেশনের জন্য তিনি কতটা তৈরি? সামিরুল হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘কী বলি বলুন তো! আমি শুধু শপথটাই নিয়েছি। এখনও রাজ্যসভার সাংসদের সচিত্র পরিচয়পত্রও পাইনি।’’ তিনি এ-ও জানালেন, এখনও দলের পক্ষ থেকে তাঁকে বিশেষ অধিবেশন নিয়ে কিছু বলা হয়নি। চা-বলয়ের নেতা প্রকাশ অবশ্য ‘অপ্রস্তুত’ নন। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও সাংসদ হিসাবে আমার কাছে বিশেষ অধিবেশন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি আসেনি। এলে তার পর দল যেমন যেমন বলবে, তেমন তেমনই করব।’’ দু’জনের কাছেই হঠাৎ পরীক্ষার ‘সহায়িকা’ দল। এবং দলের দীর্ঘ দিনের সাংসদরা। যাঁরা বলে দেবেন ‘কী করিতে হইবে।’

তবে এখন ঘরে বসে নেই দুই সাংসদ। সামিরুল জেলায় জেলায় ছুটে বেড়াচ্ছেন ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পরিষেবা সফল করতে। সারা বছর তাঁদের নিয়েই কাজ করেন গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের রসায়নের অধ্যাপক। কোভিড পর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ গঠন করেছিলেন। তার চেয়ারম্যান ছিলেন সামিরুল। আর প্রকাশ ব্যস্ত রয়েছেন ধূপগুড়ির উপনির্বাচন নিয়ে।

সংসদের অধিবেশন ডাকার পরের দিনই কেন্দ্রীয় সরকার ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত কমিটি গড়ার কথা জানায়। যার নেতৃত্বে রাখা হয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। তিনি শনিবার সেই কমিটির আরও সাত সদস্যের নাম ঘোষণা করেছেন। সেখানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী, বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে প্রমুখ। ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত কমিটি গঠনও সংসদের বিশেষ অধিবেশনের উদ্দেশ্য এবং আলোচ্য নিয়ে কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে।

সামিরুল-প্রকাশ অবশ্য আচমকা পরীক্ষা নিয়ে এখন থেকেই ব্যতিব্যস্ত হচ্ছেন না। তাঁরা পরীক্ষার হলে গিয়েই যা করার করতে চান।

আরও পড়ুন
Advertisement