রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। —ফাইল চিত্র।
‘আমরণ অনশনে’ বসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছে অসুস্থ অনশনকারীদের। তাঁরা কে কেমন আছেন, তা জানতে চায় স্বাস্থ্যভবন। প্রত্যেক দিন অন্তত দু’বার তাঁদের রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যক্ষ এবং হাসপাতালের সুপারকে ব্যক্তিগত ভাবে অসুস্থ জুনিয়র ডাক্তারদের চিকিৎসার উপর নজর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
১০ দফা দাবিতে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশনে’ বসেছিলেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যে তিন জন অনশনমঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য এবং তনয়া পাঁজার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ৬ অক্টোবর থেকে অনশনে বসা আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোকেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়।
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গেও ‘আমরণ অনশনে’ বসছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ৬ অক্টোবর অনশনে বসেন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোক বর্মা। তবে বর্তমানে দু’জনকেই অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এখন পাঁচ জন অনশনকারীর চিকিৎসা চলছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে।
অসুস্থ অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই। তাঁদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডে রয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা। প্রতি দিন তাঁদের স্বাস্থ্যের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এ বার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে অসুস্থ অনশনকারীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট চাওয়া হল।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অসুস্থ অনশনকারীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন স্বাস্থ্যসচিব। তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, অসুস্থ অনশনকারীদের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ প্রতি দিন পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। দিনে অন্তত দু’বার সেই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশিষ্ট মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যক্ষ এবং হাসপাতালের সুপারকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন স্বাস্থ্যসচিব। উল্লেখ্য, অতীতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মেডিক্যাল দল পাঠানো হয়েছিল অনশনমঞ্চে। কিন্তু অনশনকারীরা সেই দলের চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে দেননি। এ বার স্বাস্থ্য দফতর সরাসরি অসুস্থ অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নজর রাখতে চাইছে।