R G Kar Hospital Incident

আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলা: বিভাগীয় তদন্তের ‘প্রস্তুতি’ শুরু দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন দফতরের অধ্যক্ষ দেবাশিস সোম এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুজাতা ঘোষ ওই হাসপাতালের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৩

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর জি কর হাসপাতাল দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে নিজেদের বক্তব্য জানাল স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

আর জি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন দফতরের অধ্যক্ষ দেবাশিস সোম এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুজাতা ঘোষ ওই হাসপাতালের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের তদন্তের আওতায় রয়েছেন, এই মর্মে স্বাস্থ্যসচিব এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ৯ অক্টোবর চিঠি দিয়ে জানায় সিবিআই। এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছিল তদন্তকারী সংস্থা।

সিবিআই সূত্রের দাবি, তদন্তকারীদের ওই চিঠির পর স্বাস্থ্য দফতরে তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, ওই দু’জনের দুর্নীতির বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন অবগত নয়। তবে সিবিআইয়ের চিঠির ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া যায় বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবং সিবিআইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই দু’জনের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’ তবে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আর জি কর হাসপাতাল থেকে ওষুধ সরবরাহ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক সামগ্রীর বিষয়ে অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন চাওয়া হত স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। আবেদন অনুযায়ী স্বাস্থ্য দফতর তা মঞ্জুর করত। ওই বিষয়টি সিবিআইকে বিশদে জানানো হয়েছে।

আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুন-ধর্ষণ‌ এবং হাসপাতালের দুর্নীতির মামলার শুনানিতে চিকিৎসকদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, আর জি কর কলেজে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘সিবিআই দুর্নীতির তদন্ত করছে। সে ক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের নাম পাঠালে রাজ্য বিবেচনা করবে।’’ এর পরেই দেবাশিস ও সুজাতার নাম উল্লেখ করে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দেয় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে দাবি, দেবাশিস ও সুজাতাকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ ওই দু’জন দুর্নীতি এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত বলে তথ্যসূত্র পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement