Hanskhali

Hanskhali Rape case: সোহেলের বাড়িতেই কি নির্যাতিতার রক্তক্ষরণ শুরু? হাঁসখালিতে নয়া সূত্র সিবিআইয়ের হাতে

তল্লাশিতে সোহেলের বাড়ির পিছন থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। ঘরের মেঝেতে পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরা শুক্রবার কথা বলেন শ্মশানকর্মীদের সঙ্গে। তাঁদের কাছ থেকে জানতে চান, দাহ করার সময় কে কে উপস্থিত ছিলেন শ্মশানে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হাঁসখালি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২২ ১১:২২
নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই

নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই নিজস্ব চিত্র

মাথার উপর চাঁদিফাটা রোদ, ভ্যাপসা গরম— এমন প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে সিবিআই। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে শ্মশান, কখনও আবার মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালির বাড়ি— সর্বত্র ছুটে বেড়াল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দল। শনিবারও তারা যেতে পারে ঘটনাস্থলে।

তল্লাশিতে সোহেলের বাড়ির পিছন থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। ঘরের মেঝেতে পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। তদন্তকারী দলের প্রতিনিধিরা শুক্রবার কথা বলেন শ্মশানকর্মীদের সঙ্গে। তাঁদের কাছ থেকে জানতে চান, দাহ করার সময় কে কে উপস্থিত ছিলেন শ্মশানে। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির প্রতিনিধিরাও একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা হাতের ছাপ সংগ্রহ করেছেন।

সিবিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা সোহেল গয়ালি ও তাঁর বন্ধু প্রভাকরকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছে। তাঁরা যে বিষয়গুলি জানতে চাইছেন তা হল, অভিযুক্তের বাড়িতেই কি নির্যাতিতার রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল? তা যদি না হয়ে থাকে, তবে ঘরে একাধিক রক্তের দাগ এল কী ভাবে? রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পরে নির্যাতিতাকে কি বাড়ি যেতে বাধ্য করা হয়েছিল, না কি সে নিজে থেকেই বাড়ি চলে গিয়েছিল। এই রকম সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কেন ওই নাবালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হল না? যদি সত্যিই অভিযুক্তের সঙ্গে মেয়েটি সম্পর্ক থেকে থাকে, তবে বাড়ি পৌঁছনোর পর তার খোঁজ নিল না কেন সে? মূলত এই প্রশ্নগুলোরই উত্তর খুঁজতে চাইছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগরে অস্থায়ী ক্যাম্পে বসে তদন্তের যে পরিকল্পনা করেছিলেন তদন্তকারীরা, সেই অনুযায়ী কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এ বার তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে চাইছেন তাঁরা।

Advertisement
আরও পড়ুন
Advertisement