Mamata Banerjee

Jagdeep Dhankhar: বিএসএফ নিয়ে মন্তব্য কেন্দ্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, মমতাকে চিঠি ধনখড়ের

গত ৭ ডিসেম্বর প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের স্থান হিসেবে রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন গঙ্গারামপুরের নাম। যদিও রাজ্যপাল বর্ণিত দিনে বৈঠক হয় রায়গঞ্জে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:১৭
বিএসএফ-এর নয়া নির্দেশিকা ঘিরে ফের নবান্ন-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত।

বিএসএফ-এর নয়া নির্দেশিকা ঘিরে ফের নবান্ন-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত।

বিএসএফ-এর নয়া নির্দেশিকা ঘিরে ফের নবান্ন-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত। বিএসএফ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য কেন্দ্রের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন রাজ্যপাল ধনখড়। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর বিএসএফ-অবস্থান জাতীয় সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক।

৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা বিএসএফ-ফরমান নিয়ে মন্তব্য করেন। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যপালের চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে।

Advertisement

মমতাকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘আপনার মন্তব্য আইন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তির পরিপন্থী। আপনার অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগজনক সংকেত পাঠাতে পারে।’ পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৫ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত বিএসএফ কাজ করতে চাইলে, তা করতে হবে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে। যদিও সাম্প্রতিক নির্দেশিকার জেরে পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার হয়েছে। তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে পঞ্জাব, বাংলার মতো অবিজেপি শাসিত রাজ্য। এ বার সেই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রের পক্ষ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল।

ওই চিঠিতেই গত ৭ ডিসেম্বর প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের স্থান হিসেবে রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের নাম। যদিও রাজ্যপাল বর্ণিত দিনে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।

সব মিলিয়ে ফের নবান্নের সঙ্গে সরাসরি সঙ্ঘাতে রাজভবন। বিএসএফ-বিজ্ঞপ্তি নিয়ে চিঠি তাতে ঘৃতাহুতি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন
Advertisement