জগদীপ ধনখড় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট পরবর্তী হিংসা পরিদর্শন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির জবাব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। জানিয়ে দিলেন, সাংবিধানিক বিধি মেনেই শীতলখুচি-সহ কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপালের ‘পরামর্শ’, ‘যে সংবিধানের শপথ নিয়েছেন, তা রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন। নিজের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করুন’।
রাজ্যপাল তাঁর চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘আপনার তরফে যে অবস্থান নেওয়া হয়েছে, আমি তাতে রাজি হতে পারছি না। সাংবিধানিক বিধির প্রতি প্রাথমিক অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে আপনার চিঠিতে’। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি রাজভবনে পৌঁছনোর আগেই তা কী করে সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কপ্টারে চড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা দেখতে যাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর সফরের তালিকায় রয়েছে শীতলখুচি-সহ কোচবিহার জেলার বিভিন্ন স্থান। মঙ্গলবার রাজ্যপালের সরকারি টুইটারে এ কথা জানানো হয়েছিল। ওই সফর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বুধবার বিকেলে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে লেখেন, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের ১৯৯০ সালের ‘ম্যানুয়্যাল অফ প্রোটোকল অ্যান্ড সেরিমনিয়্যালস’-এর পরিপন্থী। কারণ, ‘সরকারি নীতি এবং রীতি’ অনুযায়ী এ বিষয়ে রাজ্য সরকার অনুমতি নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের কমিশনার ও জেলা শাসককে বিষয়টি জানানো প্রয়োজন। কিন্তু রাজভবনের তরফে তা পালন করা হয়নি।
‘সরকারি বিধি এবং রীতি’ পালন না করার অভিযোগের জবাবে রাজ্যপাল সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ এনেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি, আপনার মতো উচ্চতার এক নেতা কী ভাবে বলতে পারেন, রাজ্যপালকে সফরে যেতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে’। হবে’। ভোট পরবর্তী হিংসায় সঙ্কটে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটাই উপযুক্ত সময় বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।