রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের যে বিল কয়েক মাস ধরে রাজভবনে ঝুলে আছে রাজ্যপাল তাতে সই করবেন না। শনিবার বিবৃতি দিয়ে এ কথা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যেমন চলছে তেমন চলবে। এর সঙ্গে ওই বিবৃতিতে এ-ও কার্যত স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যে ভাবে রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে তা আইনসঙ্গত হয়নি বলেই মনে করেন রাজ্যপাল। আইনের পথে বিষয়টির দ্রুত মীমাংসা চাইছেন তিনি।
পূর্ববর্তী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছয়। রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সেই পদে আনার জন্য বিল পাশ হয় বিধানসভায়। সেই বিল রাজ্যপালের সইয়ের অপেক্ষায় ছিল। এ দিনের বিবৃতিতে স্পষ্ট, ওই বিল ঠান্ডা ঘর থেকে আর বেরোবে না। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ২৪ জন উপাচার্যের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা চলছে। এমনকি, কোর্টের নির্দেশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরেও যেতে হয়েছে।
এ দিন রাজ্যপালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্যদের কাজ চালানোর কোনও যোগ্যতা নেই। তাই আইনের আলোয় বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বিধানসভায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সংশোধনী এনে ইউজিসির বদলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যা সুপ্রিম কোর্টের মতে অবৈধ। বস্তুত, উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটিতে ইউজিসির প্রতিনিধি রাখা হয়নি বলে বিতর্কও শুরু হয়েছিল।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার অন্য পথ খুঁজে দেখছে। নিয়ম অনুযায়ী, সার্চ কমিটিতে তিন থেকে পাঁচ জনকে রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে কমিটিতে ইউজিসি-র প্রতিনিধি আসবেন। রাজ্যপাল তথা আচার্যের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি থাকবেন। তবে সূত্রের খবর, কমিটির সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন হওয়ায় উচ্চশিক্ষা দফতরের এক জনের বদলে দু’জন প্রতিনিধি রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে।