—ফাইল চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে বৈঠকের পরেই দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, সোমবারই রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। যাবেন সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের বিমানে।
কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায় নিয়ে সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজভবনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০ জন প্রতিনিধির একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বোস। সেই বৈঠক সাত জন ‘বঞ্চিত’ও ছিলেন। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি। তৃণমূলের দাবি, ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র শিকার, এমন শ্রমিকেরাই সেই চিঠি লিখেছেন। ২০ মিনিটের বৈঠক শেষে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল জানায়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। রাজ্যপাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ করবেন। রাজভবন থেকেও বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন। এর পরেই রাজভবন সূত্রে সন্ধ্যায় রাজ্যপালের দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল।
১০০ দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া টাকার বিষয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যপাল সময় না দেওয়া পর্যন্ত তাঁদের ধর্না চলবে। এই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন অভিষেক। দার্জিলিংয়ে বোসের আমন্ত্রণে তৃণমূলের তিন প্রতিনিধি সাক্ষাৎ করে এলেও কলকাতায় ধর্না চলছিল। বোস রবিবার রাতেই শহরে ফিরেছেন। এর পরেই সোমবার বিকেলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দ করে রাজভবন। সেই মতো বিকেল ৪টে নাগাদ রাজভবনে যান অভিষেকরা। অভিষেক জানান, তাঁরা চেয়েছিলেন এই বৈঠক ক্যামেরার সামনে হোক। সংবাদমাধ্যমেরও প্রবেশের অনুমতি থাকুক। কিন্তু রাজভবন থেকে শুধু সংবাদমাধ্যমকেই নিষিদ্ধ করা হয়নি, সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বৈঠকে কেউ মোবাইল ফোন নিয়েও ঢুকতে পারবেন না। অর্থাৎ, সব আলোচনাই হয় ক্যামেরার আড়ালে। ২০ মিনিটের বৈঠক শেষে বেরিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্য সৌগত রায় বলেন, ‘‘আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। চিঠিগুলো দিয়ে এসেছি। বৈঠক ভাল হয়েছে।’’
রাজভবনের তরফেও বিবৃতি জারি করা হয়। জানানো হয়, রাজ্যপাল ধৈর্য ধরে অভিষেকদের বক্তব্য শুনেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন যে, বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন এবং বাংলার মানুষের হিতার্থে যা করণীয়, তা-ই করবেন।