Gariahat

Crime: উদ্ধার সুবীর-খুনের অস্ত্র, ভিকির সামনেই ক্রিক খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি

অভিযুক্তের বাড়ি ও আশপাশের এলাকা-সহ ডায়মন্ড হারবারের একটি খালে ডুবুরি নামিয়েও চলে তল্লাশি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২১ ১১:০৮

—ফাইল চিত্র।

গড়িয়াহাটে কর্পোরেট-কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়িচালককে খুনে বড়সড় সাফল্য পেলেন তদন্তকারীরা। সুবীরকে খুনে যে ছুরি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা উদ্ধার করল পুলিশের একটি দল। ওই অস্ত্র-সহ আরও কয়েকটি সামগ্রী উদ্ধার করেছে তারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে লালবাজারের একটি দল। অভিযুক্তের বাড়ি ও আশপাশের এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখা হয়। পাশাপাশি, ওই এলাকায় ক্রিক খালেও ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি। জোড়া খুনে ব্যবহার করা অস্ত্রের খোঁজেই এই অভিযান চালানো হয়।

Advertisement

এই খুনের প্রধান অস্ত্রটি কোথা থেকে উদ্ধার হয়েছে, তা জানায়নি পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত প্রধান অস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে সুবীরের লোপাট হওয়া একটি আং‌টি, তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের মোবাইল ফোন এবং ওই কর্পোরেট-কর্তার একাধিক ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড। এ ছাড়া, তল্লাশিতে দু’টি চুড়িও পাওয়া গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাঁকুলিয়া রোডে সুবীর ছাড়াও তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে খুনের চক্রী হিসাবে অভিযোগ রয়েছে ভিকির বিরুদ্ধে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ভিকি-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তদন্তকারীদের দাবি, ১৭ অক্টোবর জোড়া খুন হলেও বছরখানেক আগে থেকে এর ছক কষা হয়েছিল। ক্রেতা সেজে সুবীরকে তাঁর কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ি কেনার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন ভিকি। ঘটনার দিন সুবীরের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে পৌঁছন তিনি। খুনের উদ্দেশ্যে আগে থেকেই ছুরি কিনে রেখেছিলেন তিনি। এর পর পাঁচ সঙ্গীকে নিয়ে সুবীরের বাড়িতে যান ভিকি। তার পর সুবীর এবং তাঁর গাড়িচালককে খুন করেন। বেশ কিছু দিন গা-ঢাকা দেওয়ার পর ৩০ অক্টোবর মুম্বই থেকে ভিকি এবং তাঁর এক সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর ট্রানজিট রিমান্ডের মাধ্যমে তাঁদের কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়। এর আগে ভিকির মা মিঠু হালদারকেও এই খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ভিকির দ‌ুই সঙ্গী বাপি মণ্ডল এবং জাহির গাজিও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। এ ছাড়া, সঞ্জয় মণ্ডল বলে আরও এক জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাটেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশিতে সুবীর চাকীর ১৩টি সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, সেগুলি গড়িয়াহাটের ফার্ন রোডের একটি নর্দমায় ফেলে ছিয়েছিলেন ভিকি। এর পর শনিবার ফের ভিকিকে নিয়ে চলে তল্লাশি।

আরও পড়ুন
Advertisement