Jammu and Kashmir Terror Attack

পহেলগাঁও হামলায় নিহত বাংলার তিন বাসিন্দার পরিজনেরা রাত সাড়ে ৮টায় কলকাতায় পৌঁছোতে পারেন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় প্রাণ গিয়েছে বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ, পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী এবং পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্রের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:০০
জম্মু-কাশ্মীরে নিহত বাংলার তিন বাসিন্দাদের জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জম্মু-কাশ্মীরে নিহত বাংলার তিন বাসিন্দাদের জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় বাংলার তিন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। তাঁদের দু’জন কলকাতার বাসিন্দা, এক জন পুরুলিয়ার ঝালদার। ওই তিন নিহতের পরিজনেরা বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছোতে পারেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বুধবার সকালে এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে দিল্লি বিমানবন্দরে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে নিহতদের পরিজনদের কোনও রকম সমস্যা না হয়। তাঁরা যাতে সুষ্ঠু ভাবেই কলকাতায় পৌঁছোতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিল্লিতে রাজ্য সরকারের রেসিডেন্ট কমিশনারের দফতর তিন নিহতের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি নিজে বিষয়টি দেখছি। রাজ্য সরকারের অভিজ্ঞ অফিসারেরাও কাজ করে চলেছেন।’’

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় প্রাণ গিয়েছে বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ, পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী এবং পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্রের। স্ত্রী শবরীকে নিয়ে উপত্যকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন সমীর। বিতানও স্ত্রী সোহিনী এবং তাঁদের সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবিতে কর্মরত মণীশ কর্মসূত্রে থাকতেন হায়দরাবাদে। সেখানে স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল হায়দরাবাদ থেকে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে মণীশরঞ্জন প্রথমে অযোধ্যা যান। সেখান থেকে হরিদ্বার হয়ে সপরিবার তিনি কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পৌঁছোন। কথা ছিল, পহেলগাঁও থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাবেন। সেখানেই তাঁর বাবা, মা এবং ভাইয়ের পরিবারেরও যাওয়ার কথা ছিল। একসঙ্গে সকলে ঘোরার পরিকল্পনা করেছিলেন

মণীশ। সেইমতো মঙ্গলবার পুরুলিয়ার ঝালদার বাড়ি থেকে মণীশের পরিবার রওনা দেয় বৈষ্ণোদেবীর উদ্দেশে। কিন্তু ডালটনগঞ্জ পৌঁছোনোর পরই ফোনে জানতে পারে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয়েছে মণীশের।

Advertisement
আরও পড়ুন