Calcutta High Court

নিয়োগ মামলায় এক টলি অভিনেতার নাম মুখবন্ধ খামে! মাত্র এক? ইডিকে প্রশ্ন বিচারপতি সিংহের

গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিংহ জানান, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে যে সকল টলিউডের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে, তা নিয়ে ইডিকে রিপোর্ট দিতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৫
ED submitted a investigation report in front of Justice Amrita Sinha of Calcutta High Court

বিচারপতি অমৃতা সিংহ। —ফাইল চিত্র।

নিয়োগ মামলায় জড়িত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম এবং সম্পত্তির বিবরণ ইডিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিল তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মুখবন্ধ খামে পেশ করা রিপোর্টে এক টলি অভিনেতার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী। তবে সেই নামটি এজলাসের মধ্যে বলা হয়নি। রিপোর্টে এক জনের নাম রয়েছে শুনেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। প্রশ্ন করেন, “এত দিনে মাত্র এক জনের নাম পেলেন?” বিচারপতি স্মরণ করিয়ে দেন যে, আগের রিপোর্টে ইডি অনেক কিছু বলেছিল। উত্তরে ইডির আইনজীবী জানান, তদন্তকারী সংস্থা আরও তথ্য সংগ্রহ করছে। কিন্তু সময়ের অভাবে তা হচ্ছে না। তাই আর একটু সময় দেওয়া হোক।

Advertisement

গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিংহ জানান, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে যে সকল টলিউডের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে, তা নিয়ে ইডিকে রিপোর্ট দিতে হবে। জানাতে হবে ওই সব অভিনেতার নাম এবং তাঁদের সম্পত্তির বিবরণ। সেই মতোই বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা পড়ল বিচারপতির এজলাসে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ানও দেখতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার ইডি-কে বিচারপতি সিংহ নির্দেশ দেন যে, লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও অভিষেক-সহ সকল ডিরেক্টরের সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে হবে। সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ানও ইডির কাছে চেয়েছে হাই কোর্ট। ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিতে হবে রিপোর্ট।

ইডি সূত্রে জানা যায়, ওই সংস্থার ডিরেক্টরের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের পরিবারের বেশ কয়েক জন। এই সংস্থাতেই আগে ডিরেক্টর ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। এর পরেই ইডির আতশকাচের তলায় আসে তাঁর সংস্থা লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস।

সেই সংস্থার দফতরে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। ইডির আধিকারিকদের সূত্রে খবর, তল্লাশির পর সংস্থার বেশ কিছু নথি তাঁদের হাতে এসেছে। সুজয়ের সংস্থা এসডি এন্টারপ্রাইজ়ের সঙ্গে লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডসের লেনদেনের প্রমাণ গোয়েন্দারা পেয়েছেন বলে দাবি। ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে, ২০২০-২১ সালের মধ্যে এই এসডি এন্টারপ্রাইজ়ের সঙ্গে লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের ৯৫ লক্ষ ১ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। কবে কত টাকার লেনদেন, তা-ও চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।

আরও পড়ুন
Advertisement