অভিযানে উদ্ধার হওয়া নোট। ছবি: ইডি-র সূত্রে প্রাপ্ত।
কয়েক হাজার কোটি টাকার লটারি প্রতারণা চক্রের মামলায় প্রায় ৫০ ঘণ্টারও বেশি তল্লাশি অভিযানে ১২ কোটি ৪১ লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত দেশের ২২টি জায়গায় ‘ফিউচার গেমিং’ নামে একটি লটারি সংস্থার বিভিন্ন অফিস এবং কর্তাদের বাড়ি ও ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। মূলত তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, কর্নাটক, মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে তল্লাশি অভিযানে ওই টাকা ও আরও কয়েকটি সহযোগী সংস্থার ছ’কোটি ৪২ লক্ষ টাকার স্থায়ী আমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে ইডি।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ‘ফিউচার গেমিং’ সংস্থার একটি লটারি এ রাজ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পুরস্কার প্রাপকদের বঞ্চিত করে জালিয়াতির কালো টাকা নানা সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে একাধিক প্রভাবশালী জড়িত বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। ইডির এক কর্তা বলেন, “গত পাঁচ বছরে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুরস্কার প্রাপকদের হাজার হাজার কোটি কালো টাকা বিভিন্ন বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করে সাদা করা হয়েছে বলে সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। ওই কালো টাকার একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।”