Ration Distribution Case

রেশন ‘দুর্নীতি’র তদন্তে বালুর স্ত্রী-কন্যাকে ডাকার তোড়জোড় ইডির! তলবের সম্ভাবনা যে কোনও দিনই

বালুর এক আপ্ত সহায়কও জানিয়েছিলেন যে, স্ত্রী এবং মেয়েকে দিয়ে সই করিয়ে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর করেছিলেন মন্ত্রী। তদন্তে নেমে দু’জনের ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৩৩
Jyotipriya Mallick

মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তে এ বার রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে ডাকা হবে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডাক পড়তে পারে তাঁদের।

Advertisement

রেশন মামলায় বালু এখন ইডির হেফাজতে। তদন্তে নেমে আগেই ইডি দাবি করেছে যে, ওই ‘দুর্নীতি’তে যোগ রয়েছে মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যারও। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর বালুর এক আপ্ত সহায়কও জানিয়েছিলেন যে, স্ত্রী এবং মেয়েকে দিয়ে সই করিয়ে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর করেছিলেন মন্ত্রী। বস্তুত, কী ভাবে মন্ত্রী-পত্নীর সম্পত্তি এক বছরে ৪৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৬ কোটি হয়েছে, তা নিয়ে মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারকও। রেশন ‘দুর্নীতি’র তদন্তে জ্যোতিপ্রিয়ের গ্রেফতারির পর পরই জড়ায় তাঁর স্ত্রী এবং কন্যার নাম। এমনকি, তদন্তে নেমে মণিদীপা-প্রিয়দর্শিনীর ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। লকারগুলির ভিতরে কী রয়েছে তা জানতে ইডি দ্রুত পদক্ষেপ করছে বলে সূত্রের খবর। ইডির দাবি, স্ত্রী এবং মেয়েকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। এই ভাবে নামে-বেনামে তিনি জমি, বাড়ি এবং হোটেল কিনেছেন।

যদিও ইডি জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে জ্যোতিপ্রিয়, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে কেউই স্বীকার করতে চাননি যে, ‘গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রেসিয়াস ইনোভেশন প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘শ্রীহনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’-এর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক রয়েছে। অথচ, পরে তাঁদের বাড়ি থেকেই তিনটি কোম্পানির স্ট্যাম্প এবং সিল পাওয়া যায়। ইডির দাবি, গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত থেকে রেশন মামলায় জ্যোতিপ্রিয়, সবার ক্ষেত্রে ‘নকশা’ একই। বাড়ির পরিচারক, গাড়িটচালক, আপ্তসহায়ক প্রমুখের নামে বেআইনি সম্পত্তি করেছেন তাঁরা। এই সব নানা তথ্য জানতে বালুর স্ত্রী এবং কন্যাকে ডেকে ডিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এমনটাই ইডি সূত্রের দাবি।

Advertisement
আরও পড়ুন