গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
হাজার হাজার কোটির আন্তঃরাজ্য লটারি প্রতারণা চক্রের মামলায় প্রায় ৫০ ঘণ্টারও বেশি তল্লাশি অভিযান চালাল ইডি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারা দেশের ২০টি জায়গায় ফিউচার গেমিং নামে একটি লটারি সংস্থার বিভিন্ন অফিস ও কর্তাদের বাড়ি ও ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। মূলত দক্ষিণ ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এ রাজ্যের কলকাতার লেক মার্কেট থানা এলাকা ও শহর লাগোয়া সল্টলেক, মাইকেলনগরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
লেক মার্কেটে একটি বহুতল আবাসনের ওই সংস্থার এক কর্তার ফ্ল্যাটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চালায় দিল্লি ও কলকাতার যৌথ তদন্তকারী দল। ইডি সূত্রে দাবি, ওই কর্তার ফ্ল্যাট থেকে লটারি জালিয়াতির বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং কয়েক কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত নথির ভিত্তিতে ওই লটারি সংস্থার কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, নথি যাচাই করে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে জালিয়াতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলেও তথ্য উঠে এসেছে।
তদন্তকারীদের কথায়, ‘‘ফিউচার গেমিং সংস্থার অধীনে এ রাজ্যে একটি লটারি অত্যন্ত জনপ্রিয়। ওই লটারির ক্ষেত্রেই ওই কর্তার বাড়ি থেকে জালিয়াতির নথি পাওয়া গিয়েছে।’’ পুরস্কারপ্রাপকদের বঞ্চিত করে জালিয়াতির কালো টাকা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এবং লটারি জালিয়াতির কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে একাধিক ‘প্রভাবশালী’ জড়িত রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। ইডির এক কর্তা বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুরস্কারপ্রাপকদের হাজার হাজার কোটির কালো টাকা বিভিন্ন বেআইনি আর্থিক লেনদেনে ও সম্পত্তি ক্রয়ে বিনিয়োগ করে সাদা করা হয়েছে বলে সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। ওই কালো টাকার বড় অংশ বিদেশেও পাচার করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।"