অনুব্রতের এক সময়ের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের মতো এ বার মণীশেরও ঠাঁই হতে চলেছে তিহাড় জেল। ফাইল চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গত সপ্তাহে গ্রেফতার হওয়ার পর ৫ দিনের ইডি হেফাজতে ছিলেন মণীশ। তার মেয়াদ শেষ সোমবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। যাঁর অর্থ, অনুব্রতের এক সময়ের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের মতো এ বার মণীশেরও ঠাঁই হতে চলেছে তিহাড় জেল।
গত মঙ্গলবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর সদর দফতরে হাজিরা দিতে গিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন মণীশ। ইডি সূত্রে দাবি, সেই দিন মণীশ ও অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দু’জনের বক্তব্যেই অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তার পরেই হিসাবরক্ষককে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেন ইডি আধিকারিকেরা। গ্রেফতারের পর কাঁদতে কাঁদতে মণীশ বলেছিলেন, ‘‘আমি কিছু জানি না। আমি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, সেটাই আমার ভুল।’’
ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছিল। বোলপুরের আশপাশেও মণীশের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে। তাঁর নামে সমস্ত জমির বাজারমূল্য ১৭-১৮ কোটি টাকা। মণীশের ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কেউ এই পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হতেই পারেন। উল্টো দিকে, ইডি সূত্রের মত, তা হলে কাজ শুরু করার পর থেকেই এমন সমৃদ্ধি দেখা যেত। বোলপুরের যাঁকে কেউ চিনতেন না, ২০১৬ সালের পরে অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ হয়ে তাঁর এই সমৃদ্ধি কোন পথে হয়েছে?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, মণীশকে জেরা করেই সুকন্যার নামে বোলপুর ও সল্টলেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মেয়াদি আমানতের সন্ধান মিলেছে। কোথাও আরও সম্পত্তি রয়েছে কি না এবং সেই সব সম্পত্তির উৎস জানতে মণীশকে আরও জেরা করা প্রয়োজন বলেই মনে করছে ইডি।