Mahua Moitra

সাংসদ পদের পরে দিল্লির ঘরও হারাতে হবে মহুয়াকে? আবেদন শুনেই মত জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট

আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে মহুয়া মৈত্রকে সাংসদ হিসাবে পাওয়া দিল্লির আবাসন ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। তার বিরুদ্ধেই আদালতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৫
Delhi HC disposes Mahua Moitra house eviction plea.

মহুয়া মৈত্র। ছবি: পিটিআই।

লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পরেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে দিল্লির সরকারি বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তাতে রাজি হননি মহুয়া। চেয়েছিলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই তিনি বাংলো খালি করবেন। এ নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলাও করেন মহুয়া। কিন্তু বৃহস্পতিবার মহুয়ার আবেদন শুনেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে আবেদন করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে। আদালত কিছু করতে পারবে না। এর পরে মহুয়ার আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় গত ৮ ডিসেম্বর। তার অব্যবহিত পরেই সাংসদের বাংলো এক মাসের মধ্যে খালি করার জন্য মহুয়াকে নির্দেশ পাঠাতে বলে সংসদের আবাসন কমিটি। ওই মর্মে তারা একটি চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে। তার পর গত ১১ ডিসেম্বর মহুয়াকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সময় বেঁধে দেওয়া হয় ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে লিখিত হলফনামা দাখিল করেন মহুয়া। বুধবার আদালতের নির্দেশের পরে এখন বাংলো ধরে রাখার জন্য মহুয়ার হাতে সময় রইল মাত্র চার দিন।

মহুয়ার আবেদন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা পর্যন্ত যাতে তিনি সরকারি বাংলোয় থাকতে পারেন, সেই নির্দেশ দিক আদালত। মহুয়ার আইনজীবী জানান, যদি তাঁর মক্কেলকে সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে বর্ধিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য যে কোনও খরচ দিতেও প্রস্তুত। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেন, সরকারি আবাসনে থাকার জন্য আবেদন ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছেই করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদ করে মহুয়া সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় বুধবারই শুনানি হয়। আদালত বুধবার লোকসভার সচিবালয়কে নোটিস দিয়েছে। দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে সচিবালয়কে। এর মধ্যে মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে বক্তব্য জানাতে হবে তাদের। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১১ মার্চ।

Advertisement
আরও পড়ুন