CPIM CGO Movement

তদন্তের নামে ‘তামাশা’ নয়, সিজিও অভিযানে সিপিএম

উল্টোডাঙার হাডকো মোড়ে জমায়েত করে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১৬
সিবিআই দফতর অভিযানে সিপিএম। বিধাননগরে।

সিবিআই দফতর অভিযানে সিপিএম। বিধাননগরে।

আর জি কর-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরে ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তদন্তের আশানুরূপ অগ্রগতি নেই, এমন অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতর অভিযান করল সিপিএম। সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আঞ্চলিক দফতরে গিয়ে তাদের বক্তব্য, তদন্তের নামে তামাশা চলবে না। সুবিচার দিতে হবে।

Advertisement

উল্টোডাঙার হাডকো মোড়ে জমায়েত করে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি। সেই মতোই ‘আরও কত সময় চাই, জবাব দাও সিবিআই’, এমন স্লোগান নিয়ে এ দিন দলের কর্মী-সমর্থকেরা সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন। শামিল হয়েছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র, রামচন্দ্র ডোম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ সিপিএমের রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব। সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছনোর পরে সিপিএম নেতৃত্ব সিবিআই-কে দাবিপত্র দিতে চাইলে টানাপড়েন তৈরি হয়। শেষে সেলিম, রামচন্দ্র, মীনাক্ষীরা আইনজীবী সংযুক্তা সেনকে সঙ্গে নিয়ে দাবিপত্র জমা দিয়েছেন।

সেলিম বলেছেন, “রাজ্যের মানুষ বিচার দেখতে চান, তামাশা নয়। আমরা সুবিচার চাই।” সিবিআই তদন্তের পরিসর বাড়ানোর ডাক দিয়ে তাঁর আরও বক্তব্য, “সিবিআই-কে নিরপেক্ষ ভাবে আদালতে সব কথা বলতে হবে ও তদন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে। যারা দেহ পুড়িয়েছে, তাদেরও ডাকতে হবে। প্রয়োজনে ১৪ তলা অবধি যেতে হবে! মানুষ সত্যের জয়, সরকার অসত্যের জয় হবে বলছে।” কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বেই প্রমাণ লোপাট হয়েছিল বলে এ দিন ফের অভিযোগ করেছেন সেলিম। এর সঙ্গেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি ‘আঁতাঁতের’ অভিযোগে সরব হয়েছেন দলের যুবনেত্রী মীনাক্ষী। তাঁর অভিযোগ, “মোহন ভাগবত (আরএসএস প্রধান) বলে গিয়েছেন, আর জি করের ঘটনায় রাজ্য যা পদক্ষেপ করবে, তাতে তিনি পূর্ণ সমর্থন জানাবেন। আর জি কর-কাণ্ডের বিচার না-করে সিবিআই ও রাজ্য সরকার অপরাধীদের পিঠে হাত বোলাচ্ছে। এরা খুনি-ধর্ষকদের পক্ষে।”

বিরাট সংখ্যায় পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্সে মোতায়েন থাকলেও বামেদের মিছিলে এ দিন তারা বাধা দেয়নি। বাম-তৃণমূলের ‘আঁতাঁতের’ পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের গুমা রেলগেট এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তাঁর অভিযোগ, “বামদের সঙ্গে তৃণমূলের ‘সেটিং’ আছে। যখনই সরকারের বিরুদ্ধে জনজোয়ার তৈরি হয়, তখনই বাম-অতি বামেরা আসরে নামে। জনজোয়ার স্তিমিত হয়ে পড়ে। আর জি কর নিয়ে অরাজনৈতিক আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।” সিপিএমের এ দিনের অভিযানের সূত্রে তাদের তোপ দেগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষেরও বক্তব্য, “ওঁরাই তো বললেন, সিবিআই চাই, কলকাতা পুলিশ চাই না। সিপিএম এখন সঞ্জয় রায়ের পক্ষে? সিপিএম পরিষ্কার করে বলুক যে, ফাঁসি চায়, না কি চায় না?”

আরও পড়ুন
Advertisement