Saline Controversy

স্যালাইন-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি, মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় গেল একটি দল

এর আগে এই ঘটনার অনুসন্ধান চালাচ্ছিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। শুক্রবার সিআইডির একটি দল গেল কোতোয়ালি থানায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৪
স্যালাইন-কাণ্ডের তদন্তভার সরকারি ভাবে হাতে নিল সিআইডি।

স্যালাইন-কাণ্ডের তদন্তভার সরকারি ভাবে হাতে নিল সিআইডি। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতিদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট)। এর আগে এই ঘটনার অনুসন্ধান চালাচ্ছিল তারা। বৃহস্পতিবার রাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। শুক্রবার সিআইডির একটি দল গেল কোতোয়ালি থানায়। তার পরেই সরকারি ভাবে এই মামলার তদন্তভার হাতে নিল তারা।

Advertisement

গত ৭ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। অভিযোগ উঠেছিল, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার একটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আরএমও এবং সুপার। তাঁদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তেরও নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই ওই ১২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জেলা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থানায় গিয়ে অভিযোগ জমা দিয়ে আসেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের করেছে পুলিশ।

এর আগে অনুসন্ধান-পর্বে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে দুই জুনিয়র ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিআইডি আধিকারিকেরা। চার জন নার্সের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার জয়ন্ত রাউতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। এ বার সরকারি ভাবে মামলার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি।

যে ১২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার (পিজিটি)। ওই ছয় জুনিয়র ডাক্তারকে নিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই স্ত্রীরোগ এবং অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের ২২ জন জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি শুরু করেন হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে। যদিও পূর্বঘোষণা সত্ত্বেও পূর্ণ কর্মবিরতি থেকে সরে আসছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবার সকালে সেখানকার জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, প্রসূতি ও শিশু বিভাগের পাশাপাশি, বহির্বিভাগেও পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক থাকায় স্বস্তিতে রোগী এবং রোগীর পরিজনেরাও।

Advertisement
আরও পড়ুন