শুভব্রত চক্রবর্তী ও শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর তদন্তভার নিল সিআইডি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দেহরক্ষী থাকাকালীনই ২০১৮ সালে ‘রহস্যজনক’ ভাবে মৃত্যু হয় শুভব্রতর। স্বামীর মৃত্যুর আড়াই বছর পর সুবিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা চক্রবর্তী। ওই ঘটনারই তদন্তে এ বার সিআইডি। সোমবারই শুভব্রতর মহিষাদলের বাড়িতেও যাওয়ার কথা গোয়েন্দাদের।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে গুরুতর জখম হন শুভব্রত চক্রবর্তী। পর দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। গত বুধবার শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সুপর্ণার অভিযোগ পেয়ে কাঁথি থানায় ৩০২ এবং ১২০বি ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। নিজের অভিযোগপত্রে একগুচ্ছ প্রশ্নে কার্যত শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুপর্ণা। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামীর ‘মৃত্যু-রহস্যে’র পিছনে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ পত্রের একটি প্রতিলিপি টুইট করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার নামও জড়িয়ে রয়েছে ওই ঘটনায়। শুভব্রতর পরিবারের ঘনিষ্ঠ তথা মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘‘শুভেন্দুর নির্দেশেই গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল।’’
পাল্টা শুভেন্দুও বলেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই শুভব্রতর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে।’’ ওই ঘটনার আড়াই বছর পর কেন এই তৎপরতা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।