Partha Chatterjee

Partha Chatterjee: ইতিহাস বইয়ে থেকে যাচ্ছেন পার্থ, শিক্ষামন্ত্রীর পাশে বসে জানালেন সিলেবাস কমিটির প্রধান

সিঙ্গুর আন্দোলন প্রসঙ্গে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম এখনও থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২২ ১৮:৩৯
পার্থ বিতর্কে জবাব অভীকের।

পার্থ বিতর্কে জবাব অভীকের।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ইতিহাস বইতে সিঙ্গুর আন্দোলন প্রসঙ্গে রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পরও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে সেই নাম থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই উত্তরে রবিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে রাজ্য শিক্ষা দফতরের অধীনস্থ সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেছিলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এটা নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন বা নির্দেশ দেবেন তাই করা হবে।’’ সোমবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাশে বসেই তিনি বললেন, ‘‘ওই বইতে যে বাক্য রয়েছে তাতে কোনও ভুল নেই। ২০১৬ সালে লেখা হয়েছিল। সেই সময়ের প্রেক্ষিতে সেটা সত্য ছিল। আরও ঐতিহাসিক ভাবে সেটা সত্যি।’’

প্রসঙ্গত, অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য হিসাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ‘অতীত ও ঐতিহ্য’ বইতে উল্লেখ রয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলন পর্বের কথা। আর সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, ‘সেই আন্দোলনকে সুসংহত করে তার নেতৃত্ব দিলেন শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেতা পার্থ চ্যাটার্জী।’ এখন পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে থাকা পার্থর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল। মন্ত্রিত্বর সঙ্গে সঙ্গে দলের যাবতীয় পদ থেকেও সরানো হয়েছে পার্থকে। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধারের পরে জনমানসে পার্থকে নিয়ে ভিন্ন ধারণা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে স্কুলপাঠ্যে পার্থের নাম রাখা উচিত নয় বলে বিভিন্ন মহলে দাবি ওঠে। অতীতেই বা কেন লেখা হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিক থেকে শিক্ষাবিদরা। এই পরিস্থিতিতে ওই নাম রেখে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে অভীক নেলসন ম্যান্ডেলার স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার কিছু দুর্নীতির কথা জানার পরে নেলশন প্রথমে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। পরে স্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। কিন্তু বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনে উইনির যে ভূমিকা ছিল তার উল্লেখ কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েবসাইটে গেলে দেখা যায়।

আরও পড়ুন
Advertisement