Labour Department

বিড়ি শ্রমিকদের জন্য তৈরি কেন্দ্রীয় হাসপাতালের বেহাল দশা রাজ্যে, বিধানসভায় জানালেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক

শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের বিড়ি শ্রমিকদের সংখ্যা ও তাঁদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। জবাবে মন্ত্রী মলয় জানিয়েছেন, এ রাজ্যে বিড়ি শ্রমিকদের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৪ লক্ষ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৭
Central hospital for beedi workers is in poor condition, says Labor Minister Malay Ghatak in Assembly

মলয় ঘটক। — ফাইল চিত্র।

রাজ্যে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য তৈরি কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের বিড়ি শ্রমিকদের সংখ্যা ও তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। জবাবে মন্ত্রী মলয় জানিয়েছেন, এ রাজ্যে বিড়ি শ্রমিকদের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৪ লক্ষ। তাঁরা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারি উদ্যোগের উপরেই নির্ভরশীল। তাঁদের নির্ভর করতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের উপর। সেই সঙ্গে শ্রমমন্ত্রী আরও জানান, বিড়ি শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গের দু'টি হাসপাতাল তৈরির কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, একটি মুর্শিদাবাদে ও অন্যটি পুরুলিয়া জেলায়।

Advertisement

পুরুলিয়ার ঝালদায় তৈরি ওই হাসপাতালটি প্রসঙ্গে মন্ত্রী মলয় জানান, হাসপাতালটির কাজ ৪০ শতাংশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আর্থিক বরাদ্দ না আসায় সেই হাসপাতালটি্র নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। তাই পুরুলিয়ার ওই নির্মীয়মাণ হাসপাতালটি বিড়ি শ্রমিকদের কোনও কাজে আসছে না। আবার মুর্শিদাবাদের হাসপাতালটিতে একজন মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন। তাই সেখানেও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় বিড়ি শ্রমিকরা চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সব ক্ষেত্রেই তাঁদের নির্ভর করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির উপর। বিড়ি শ্রমিক ছাড়াও বানতলার লেদার কমপ্লেক্সে বর্তমানে কত শ্রমিক কাজ করছেন, সেই বিষয় নিয়েও বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে জানতে চেয়েছিলেন বিধায়ক নওশাদ। জবাবে শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে বিভিন্ন সংস্থায় অনেক কর্মী কাজ করেন। কিন্তু ওই কমপ্লেক্সের বর্তমানে ঠিক কত শ্রমিক কাজ করছেন, সেই পরিসংখ্যান শ্রম দফতরের হাতে নেই। তবে বিধায়ক নওশাদ সেই তথ্য জানতে চাইলে, তিনি লেদার কমপ্লেক্সের থাকা বেসরকারি সব কারখানাগুলিকে পৃথক পৃথক ভাবে চিঠি লেখে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের সংখ্যা জানাতে পারবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement