Kolkata Doctor’s Rape-Murder Case

আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে ফের সিবিআইয়ের দল, কোন তথ্যের সন্ধান পেতে চান তদন্তকারীরা?

গত বৃহস্পতিবারও সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর। সে দিন মৃত চিকিৎসকের ডায়েরি, বইপত্র ঘেঁটে দেখেছিলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৫৭
CBI team reached R G Kars Victim house for investigation

সিবিআইয়ের দল নির্যাতিতার বাড়িতে। — ফাইল চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিত চিকিৎসকের বাড়িতে আবার গেল সিবিআইয়ের একটি দল। গত বৃহস্পতিবারও সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর। সে দিন মৃত চিকিৎসকের ডায়েরি, বইপত্র ঘেঁটে দেখেছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সোমবার কেন সিবিআইয়ের দল গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

সোমবার সকালে সিবিআইয়ের বেশ কয়েকটি দল সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তার মধ্যে একটি দল নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে যায়। অন্য একটি দল সোমবারও আরজি করে গিয়েছে বলেই খবর।

আরজি করের চিকিৎসক খুনের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে দিল্লি থেকে উড়ে এসেছে বিশেষ দল। রোজই এই ঘটনার সঙ্গে যোগ আছে বা থাকতে পারে, এমন ব্যক্তিদের জেরা করছেন তদন্তকারীরা। আরজি কর হাসপাতালে যাচ্ছে সিবিআইয়ের দল। কথা বলছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। গত ৯ অগস্ট ভোরে কী ঘটেছিল, তা জানতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সিবিআই। ঘটনাস্থলের ৩ডি লেজ়ার ম্যাপিংও করা হয়।

বৃহস্পতিবার ওই চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। নির্যাতিতার বাবা-মা প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, তাঁদের কন্যাকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতার পরিবারের কী মনে হচ্ছে, কেন মনে হচ্ছে খুনের নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে, সেই সম্পর্কেই তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন আধিকারিকেরা।

অন্য দিকে, সিবিআই দফতরে সোমবার সকাল থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করছেন আধিকারিকেরা। এই নিয়ে টানা চার দিন সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, আরজি করের চিকিৎসক খুনের ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই আরজি করে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, তিনি অত্যন্ত ‘প্রভাবশালী’। তদন্তেও প্রভাব খাটাতে পারেন। এর পর অধ্যক্ষের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। আদালতের নির্দেশে আপাতত তিনি ছুটিতে রয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement