Bengal TET Recruitment Case

টেটের উধাও ওএমআর তথ্য উদ্ধারে ফের সিবিআই হানা, সঙ্গী ‘তৃতীয় পক্ষের’ সাইবার বিশেষজ্ঞেরাও

মঙ্গলবার দুপুরে এক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এবং এক সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হাজির হন সিবিআই গোয়েন্দারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৩:৫৪

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

টেটের উধাও হওয়া ওএমআরের তথ্যের খোঁজে আবার এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হাজির হল সিবিআই। তবে এ বার তারা তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সঙ্গে নিল এক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এবং এক সাইবার বিশেষজ্ঞকে।

Advertisement

গত শুক্রবারই সিবিআইকে একটি বিশেষ নির্দেশে কলকাতা হাই কোর্ট বলেছিল, ২০১৪ সালের টেটের ওএমআরশিটের তথ্য উদ্ধার করতে প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে পারে সিবিআই। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, সিবিআই যদি ওএমআর তথ্য উদ্ধারে অসমর্থ হয়, তবে তারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির থেকেও সাহায্য নিতে পারে। সেই নির্দেশের চার দিনের মধ্যেই তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সিবিআইয়ের অধীনস্থ নয় এমন দুই বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হাজির হল সিবিআই।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ৫১৮ নম্বর বাড়িতে হাজির হন সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, সেখানে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কম্পিউটারে থাকা তথ্য খতিয়ে দেখে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিটের তথ্য খুঁজে বার করার চেষ্টা করবেন বিশেষজ্ঞেরা।

২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা বা টেটে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তার তদন্তের জন্য টেট-এর উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের তথ্য জরুরি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতকে জানিয়েছিল ওই তথ্য স্ক্যানিংয়ের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের এক সংস্থা। তাদের কাছেই এই সংক্রান্ত তথ্য আছে। গত মঙ্গলবার প্রাথমিকের নিয়োগে ওই ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের কাছে অরিজিনাল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য চেয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওএমআর শিট স্ক্যান করে কোথায়, কোন হার্ড ডিস্কে রাখা হয়েছিল, শুক্রবারের মধ্যে তা জেনে আদালতকে জানাতে হবে সিবিআইকে। কিন্তু শুক্রবারও সিবিআই ওই তথ্য জমা দিতে পারেনি।

পরে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ওএমআর স্ক্যান করে যে সার্ভারে রাখা হয়েছিল, তা ২০১৭ সালে বদলে ফেলা হয়। সিবিআই এই টেট দুর্নীতিকাণ্ডে যাঁদের জেরা করেছে, তাঁরা দাবি করেন সার্ভার ‘ক্র্যাশ’ করেছিল বলে তা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। আর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তৎকালীন অংশীদার অধুনাপ্রয়াত গৌতম মাজি ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement