Tet Recruitment Case

মানিককে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে না, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের একাংশ খারিজ আদালতে

টেট প্রার্থী শাহিলা পারভিনের অভিযোগের ভিত্তিতে মানিককে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। জরিমানা না দেওয়ায় তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৩ ১৬:১৭
Calcutta High Court says Manik Bhattacharya will not have to pay fine worth 5 lakh.

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।

নিয়োগ মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে না। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মানিককে ওই জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশের একাংশ খারিজ হয়ে গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে আদালতে কিছুটা স্বস্তি পেলেন মানিক।

Advertisement

টেট প্রার্থী শাহিলা পারভিনের অভিযোগের ভিত্তিতে মানিককে জরিমানা করা হয়েছিল। জরিমানা না দেওয়ায় তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশও বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের টেট প্রার্থী শাহিলার অভিযোগ ছিল, পরীক্ষা দিলেও ফলাফল তিনি জানতে পারেননি। পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছেন তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) তা জানতে চান শাহিলা। নিজের ওএমআর শিটটিও দেখতে চান। মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শাহিলাকে আসল ওএমআর শিট দেখানো হয়নি। এ ক্ষেত্রেও কারচুপি করা হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী তীর্থঙ্কর দে জানান, এর ফলে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁর মক্কেল।

এই মামলায় মানিককে গাফিলতির অভিযোগে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু জরিমানার টাকা না দেওয়ায় পরে দেশে বিদেশে মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেন তিনি। বলা হয়েছিল, জরিমানার অর্থ না মেটানো পর্যন্ত মানিককে তাঁর সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মানিককে জরিমানা দিতে হবে না। তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজন নেই। তবে মামলাকারীকে তাঁর চাহিদা অনুযায়ী সমস্ত তথ্য দিতে হবে পর্ষদকে। ওএমআর শিট-সহ আর যা যা তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, সঠিক ভাবে সেই নথি দেখাতে হবে। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে এই তথ্য দেখাতে পারবে পর্ষদ।

আরও পড়ুন
Advertisement