Justice Amrita Sinha

মৃত শিক্ষিকার পেনশন তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলেকে

বাঁকুড়ার মিঠু মণ্ডল পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সঞ্জয় প্রামাণিকের বিয়ে হয়। ২০১০-এ তাঁদের ছেলে সৌম্যজিতের জন্ম। সে ৭০ শতাংশ প্রতিবন্ধী এবং দেহের এক দিকে মাংসপেশির অসাড়তা আছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৬:৩২
calcutta high court

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। —ফাইল চিত্র।

স্কুল শিক্ষিকা মা কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। বাবাও ফের বিয়ে করেছেন। তাই মায়ের পারিবারিক পেনশন নাবালক সন্তানকে দেওয়ার নির্দেশ শুক্রবার দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। কোর্টের খবর, ২০২১ সাল থেকে পারিবারিক পেনশন বন্ধ আছে। রাজ্য সরকারের নানা জায়গায় একাধিক বার আবেদন করেও সুরাহা না হওয়ায় ওই মাতৃহারা কিশোরের কাকা তারাপদ প্রামাণিক হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। সেই মামলাতেই ওই কিশোরের নামে দ্রুত পারিবারিক পেনশন চালু করতে বলেছে হাই কোর্ট।

Advertisement

বাঁকুড়ার মিঠু মণ্ডল পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সঞ্জয় প্রামাণিকের বিয়ে হয়। ২০১০-এ তাঁদের ছেলে সৌম্যজিতের জন্ম। সে ৭০ শতাংশ প্রতিবন্ধী এবং দেহের এক দিকে মাংসপেশির অসাড়তা আছে। তারাপদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাস কোর্টে জানান, ২০১৩ সালে মিঠুর মৃত্যুর পরে সঞ্জয়ের নামে পারিবারিক পেনশন চালু হয়। ২০২১ সালে সঞ্জয় পুনর্বিবাহ করেন। তার পরে নিয়ম মেনে নিজের নামে পারিবারিক পেনশন বন্ধ করতে বলে তা সৌম্যজিতের নামে চালুর আর্জি জানান। কিন্তু জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস-সহ নানা জায়গায় গিয়েও তা না হওয়ায় নাবালক ভাইপোর হয়ে কাকা তারাপদ প্রামাণিক কোর্টে যান।

কোর্টের খবর, ভাইপোর হয়ে কাকা পারিবারিক পেনশনের আর্জি জানাতে পারেন না দাবি করে আপত্তি তুলেছিল শিক্ষা দফতর। ফিরদৌসের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে সঞ্জয় দ্বিতীয় বিয়ের পরে নিজেই ছেলের নামে পেনশন চালুর কথা বলায় মূল আবেদন বাবারই করা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ছেলে আইন অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য। তাই তার নামেই পেনশন চালু করতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement