WB Primary Recruitment Case

প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা শুনল না হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সেন

প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হল না কলকাতা হাই কোর্টে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম সদস্য, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ১২:২১
বিচারপতি সৌমেন সেন।

বিচারপতি সৌমেন সেন। —ফাইল চিত্র।

প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হল না কলকাতা হাই কোর্টে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম সদস্য, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। মামলাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি সেন।

Advertisement

সোমবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে’র ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু বিচারপতি সেন মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয় নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি আর ওই ডিভিশনের বেঞ্চের বিচারাধীন রইল না।

এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “ভেবেছিলাম আজ শুনানি হবে। কিন্তু বিচারপতি ব্যক্তিগত কারণে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে এটাই আমাদের আর্জি যে, মাননীয় প্রধান বিচারপতি যেন এমন বেঞ্চে মামলা পাঠান, যেখানে দ্রুত শুনানি হয়।”

২০২৩ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য। এই সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহ ৪২ হাজার নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যে ২৬ হাজার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। সেই রায়ের পরে সমাজের প্রায় সব স্তরেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক চাকরি মামলার শুনানি ঘিরে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। হাই কোর্টে এই মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে চর্চা চলছে নানা মহলে।

মামলাকারীরা দাবি করেছিলেন, আদালতের নির্দেশে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, সেই তালিকায় তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্যানেল বাতিল করে ‘ঢাকিসমেত বিসর্জন’-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য যে, একটি মামলায় বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর প্রথমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর খারিজ করে দেয়। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের প্রক্রিয়াগত ‘ত্রুটি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি তাঁর নির্দেশনামায় বিচারপতি সেন সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ তোলেন। এমনকি, বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন