Nabanna Abhijan

চার ছাত্রনেতাকে কি আইন মেনেই গ্রেফতার করা হয়েছিল? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট

চার ছাত্রনেতাকে গ্রেফতারি এবং তার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের। আইন মেনে গ্রেফতার করা হয়েছিল কি না, সে নিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছে উচ্চ আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:১০
নবান্ন অভিযানের আগে চার ছাত্রনেতার গ্রেফতারিতে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ হাই কোর্টের।

নবান্ন অভিযানের আগে চার ছাত্রনেতার গ্রেফতারিতে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ হাই কোর্টের। —ফাইল চিত্র।

নবান্ন অভিযানের আগের রাতেই চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আবার তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় এ বার রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। চার ছাত্রনেতাকে প্রথমে গ্রেফতার ও তার পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট নিয়ে উষ্মা প্রকাশ বিচারপতি ভরদ্বাজের।

Advertisement

বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ওই গ্রেফতারি আইন মেনে হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। পাল্টা হলফনামা দেবেন মামলাকারীরাও। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে নবান্ন অভিযান কর্মসূচির সকালেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, চার ছাত্রনেতার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের গ্রেফতার বা আটক করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। পরে রাজ্য পুলিশের সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডল থেকে জানানো হয়েছিল, ‘লাশ ফেলে দেওয়ার ছক’-এ জড়িত থাকার কারণে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

সমাজমাধ্যমে রাজ্য পুলিশের বক্তব্য ছিল, “ওই চার জন আজকের নবান্ন অভিযানে ব্যাপক হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে আমাদের কাছে নির্দিষ্ট ও অকাট্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। খুন ও খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওঁরা। শান্তিরক্ষার স্বার্থে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ওঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

সে নিয়েই এর আগে বিচারপতি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে, তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হল? পুলিশের কাছে কী অভিযোগ ছিল, কোথা থেকে সেই তথ্য পেয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল হাই কোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement