Arabul Islam

জেলবন্দি তৃণমূল নেতা আরাবুলের বিরুদ্ধে ক’টি মামলা? রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাই কোর্ট

পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আরাবুলের স্ত্রী জাহানারা বিবি। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একের পর এক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪৮
image of Arabul Islam

আরাবুল ইসলাম। — ফাইল চিত্র।

ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা রয়েছে, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, আরাবুলের বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা দায়ের হয়েছে এবং কতগুলিতে চার্জশিট পেশ হয়েছে, আট দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। আগামী ১৬ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আরাবুলের স্ত্রী জাহানারা বিবি। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একের পর এক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। গ্রেফতারের পরেও নতুন নতুন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁর আবেদন, আরাবুলের বিরুদ্ধে আর কতগুলি মামলা রয়েছে, পুলিশ তা জানাক। সোমবার তাঁর আইনজীবী সওয়াল করে জানান, তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার প্ররোচনায় আরাবুলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলাতেই সব মামলার তথ্য চাইল আদালত।

আদালতে আরাবুল আরও অভিযোগ করেন, তাঁকে একটি মামলায় গ্রেফতারের পরেও কিছু দিন আগে আরও দু’টি মামলায় যুক্ত করেছে পুলিশ। লোকসভা ভোট সামনেই। তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁকে ভোটের আগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার আরাবুল তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই বিচারপতিই এ বার জানতে চাইলেন রাজ্যের কাছে যে, আরাবুলের বিরুদ্ধে ক’টি মামলা রয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ‘তাজা নেতা’ আরাবুলকে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণের অভিযোগও রয়েছে। এর আগে জামিন চেয়ে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে যান আরাবুল। সেখানে তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন। তাঁর আইনজীবী জানান, আরাবুল অসুস্থ। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্তের প্রয়োজনে আরাবুলকে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় এবং পরে নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন আরাবুল। আশঙ্কা করেন, তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন। এর পরে আরাবুল এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল মোল্লার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement