BJP protest

অগ্নিমিত্রা দামোদরে, অজয়ে জিতেন্দ্র! নদনদী ঘুরে দেখে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলছে বিজেপি, পাল্টা তৃণমূলও

কোথাও নদী থেকে ‘বালি চুরি’! কোথাও আবার ‘নদী দখল’! তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং দলীয় নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১২:৫৮
(উপরে) দামোদরে অগ্নিমিত্রা পাল, অজয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি (নীচে)।

(উপরে) দামোদরে অগ্নিমিত্রা পাল, অজয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি (নীচে)। —নিজস্ব চিত্র।

কোথাও নদী থেকে ‘বালি চুরি’! কোথাও আবার ‘নদী দখল’! তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং দলীয় নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পাল্টা জবাব দিল শাসকদল তৃণমূলও।

Advertisement

গত শনিবারই পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের হিরাপুর থানায় এলাকায় দামোদর নদ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। তাঁর অভিযোগ, ড্রেজিংয়ের নামের নদ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে। পরে পাচার করা হচ্ছে সেই বালি। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা দাবি করেন, যে ভাবে দিনের পর দিন দামোদর থেকে বালি তোলা হয়েছে, তাতে উপর দিয়ে যাওয়া রেলসেতুও নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। সেতুর পিলারের নীচের অংশ থেকে সরে গিয়েছে বালি-মাটি। এই পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষকে লোহার লড, পাথর দিয়ে মেরামতির কাজ করতে হচ্ছে।

অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘যা পরিস্থিতি, তাতে যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নদীর পথ আটকে জেসিবি দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে। এটা যদি চলতে থাকে, নদীর জল সংরক্ষণ ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে। জলকষ্ট দেখা দেবে দামোদর উপত্যকায়। তৃণমূল বালি চুরি, কয়লা চুরি, মাটি চুরি, গাছ কেটে গোটা রাজ্যটা শেষ করে দিতে চাইছে। ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি আসছে। এটা বুঝে গিয়েই এ ভাবে লুটপাট শুরু করেছে।’’

পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য নেতা তথা কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘অগ্নিমিত্রা পাল বাজার গরম করার জন্য মাঝে মাঝে এসে এ ধরনের কথা বলেন। রেলব্রিজ যদি সত্যিই বিপজ্জনক অবস্থায় থাকে, তা হলে রেলকে বলুন। আর বালি নিয়ে আন্দোলন আমরা করেছিলাম, কারণ আমাদের দলের দুই সমর্থক বালির গাড়িতে মারা গিয়েছিল। তখন থেকে আর এই বার্নপুর এলাকা দিয়ে কোনও বালির গাড়ি যায় না। উনি রাজনীতি করার জন্য এই সব কথা বলছেন।’’

অগ্নিমিত্রার মতো সোমবার অজয় পরিদর্শনে নদী ভরাটের অভিযোগ তুলেছেন জিতেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে নদী ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে, তাতে বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বিডিওকে লিখিত আকারে এই বিষয়ে জানালেও কোনও ভাবেই কোনও কাজ হয়নি। আমি নিজেও জেলাশাসককে নদীর ভরাট করে দখল করার অভিযোগ জানিয়েছেন। তাতেও কোনও কাজ হয়নি। তাই সশরীরে অজয় নদীর পারে এসে দেখলাম, কী ভাবে নদী দখল করা হয়েছে। আর সেটা ঢাকতে গাছ লাগিয়েছে তৃণমূল।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, জিতেন্দ্রর অভিযোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মোটেই নদী দখল করা হয়নি। দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে অজয়ের পারে গাছ লাগানো হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন