গোর্খাদের দীর্ঘদিনের দাবি কি পূরণ হবে এ বার!
বাংলার পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স এলাকার উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। গোর্খা সমাজের ১১টি জনজাতিকে তফসিলি তালিকাভূক্ত করার উদ্যোগও শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্য শীঘ্রই রাজ্যকে নিয়ে বৈঠকেও বসতে চায় কেন্দ্র। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে এই কথা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা।
শুক্রবার রাজুর নেতৃত্বে পাহাড়ের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে অমিতের সঙ্গে দেখা করে। সেই প্রতিনিধি দলে দার্জিলিং ও কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা এবং কল্যাণ দেওয়ান। এ ছাড়াও ছিলেন জিএনএলএফ নেতা মন ঘিসিং, কমিউনিস্ট পার্টি অব রেভলিউশনারি মার্কসিস্ট পার্টির নেতা আরবি রাই।
অমিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে রাজু জানিয়েছেন, মূলত দু’টি দাবি নিয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন। একটি দাবি ছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-র দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো ১১টি গোর্খা জনজাতি সম্প্রদায়কে তফসিলি তালিকাভূক্ত করা। এ নিয়ে ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও ২০২১ সালে সিকিম সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলেও অমিতকে জানিয়েছেনরাজুরা। তিনি বলেন, ‘‘এটা পাহাড়ের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি। অমিত শাহ’জি সবটা শুনে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন ও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তফসিলি তালিকার কাজ আটকে রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কেন্দ্র এ নিয়ে প্রস্তাব আনবে।’’
একই সঙ্গে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আগামী সেপ্টেম্বরে একটি বৈঠক করতে চায় বলেও জানিয়েছেন রাজু। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার-সহ বিভিন্ন পক্ষকে নিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বৈঠকে বসবে। অমিত শাহ’জি জানিয়েছেন, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে সব পক্ষকে চিঠি পাঠানো হবে।’’
শুক্রবার শাহি-সাক্ষাতের পরে শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছেও পাহাড়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে যান রাজু। সেখানে সেনা ও আধা সামারিক বাহিনীতে গোর্খা সম্প্রদায়ের যুবকেরা যাতে আরও বেশি করে সুযোগ পান তার আর্জি জানিয়েছেন।