BJP

মোদীর বঙ্গসফরের দিনেই দল ছাড়লেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা, যোগ দিলেন শাসক তৃণমূলে

বৃহস্পতিবার কোচবিহার পুরসভার তিন নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। শুক্রবারও শাসকদলের সেই যোগদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৬
নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনে আগে বিজেপিতে ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি সিদ্দিক আলি মিয়া। শুক্রবার কোচবিহার ২ ব্লকের ঘোকসার ডাঙায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত থেকে জোড়া ফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হুগলির আরামবাগে সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি জনসভাও করেন। তার মধ্যেই দলের সংখ্যালঘু মোর্চার নেতার শাসকদল তৃণমূলে যোগদানে অস্বস্তিতে পড়ার কথা বিজেপির।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কোচবিহার পুরসভার তিন নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। শুক্রবারও শাসকদলের সেই যোগদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকল। সিদ্দিক আলি তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, বামেরা শাসন করেছে। এখন তৃণমূলও শাসন করছে। কখনও হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ হয়নি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ করে। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’ সিদ্দিকের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে জেলা সভাপতি অভিজিৎ বলেন, ‘‘তাসের ঘরের মতো বিজেপি ভেঙে পড়বে। তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই এই জয়েনিংয়ের কাজ চলছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি নিজেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, তাসের ঘর কী ভাবে ভাঙতে শুরু করেছে। যারা সাধারন মানুষের জন্য কাজ করতে চায়, তারা কখনওই বিজেপিতে থাকতে পারবে না। বিজেপি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে না।’’

এ নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘সিদ্দিক আলি মিয়া সম্পর্কে দলের বিভিন্ন কর্মীরা অভিযোগ করছিলেন। আমরাও ওঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। তাই ওঁকে সংখ্যালঘুর সভাপতির পদ থেকে সরানোর পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছিলাম। তিনি সেটা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছেন। তাই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এতে আমাদের দলেরই ভাল হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement