ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা তৃণমূল শিবিরে যেমন উল্লাস তেমনই মুখ ভার বিজেপি-র। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশন কোনও ভাবে প্রভাবিত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তার মধ্যে একমাত্র ভবানীপুরেই কেন ভোটগ্রহণ হবে? নির্বাচন কমিশন কোনও ভাবে প্রভাবিত নয় তো!’’
দিলীপ এই ভাবে প্রশ্ন তুললেও বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য বিজেপি কেন ক্ষুব্ধ? গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্য নেতারা চেয়েছিলেন মমতাকে চাপে রাখা হোক। আর সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, ৫ নভেম্বরের মধ্যে মমতাকে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে। কিন্তু শনিবার কমিশন যে ঘোষণা করেছে তাতে চাপমুক্ত মমতা। চাপমুক্ত তৃণমূল শিবিরও।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে উপনির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল তৃণমূল। ভবানীপুরে মমতা প্রার্থী হবেন বলে মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় গত ২১ মে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। এত দিন তৃণমূলের পক্ষে অভিযোগ করা হচ্ছিল, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসে যাওয়ায় পুজোর আগে উপনির্বাচন করে নেওয়া যাবে। একই কারণ দেখিয়ে, বিজেপি শিবিরের দাবি ছিল, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলেই রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে না। ফলে উপনির্বাচনও সম্ভব নয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই দাবি মান্যতা পেল না। আর তাতেই ক্ষুব্ধ বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। বেছে বেছে শুধু মমতার কেন্দ্রেই উপনির্বাচন কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএমও। দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, বিজেপি-র সঙ্গে তৃণমূলের গোপন বোঝাপড়াই সামনে এনে দিল কমিশনের এই সিদ্ধান্ত।