শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
শান্তিপুরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার সারাদিন চলল টানটান প্রচার। বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁরা বিজেপি-র জয়ের বিষয়ে এককথায় আত্মবিশ্বাসী। পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী বললেন, ‘‘শান্তিপুর আর জয় পাবে না বিজেপি। বিজেপি সভাপতি প্রলাপ বকছেন।’’
শনিবার শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের হয়ে প্রচার করেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব। শনিবার শান্তিপুর বাইগাছি মোড় থেকে মাতাল গড় হয়ে থানার মোড় এবং শ্যামচাঁদ মোড় হয়ে মতিগঞ্জ এবং সর্বশেষে ডাকঘরে এসে এই মিছিলটি শেষ হয়। শেষে একটি ছোট্ট নির্বাচনী পথসভায় যোগ দেন দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদার । সেখান থেকেই তৃণমূলকে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, ‘‘শান্তিপুর উপনির্বাচনে এ বার জয়ের হ্যাটট্রিক করবে বিজেপি।’’ পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘শান্তিপুরের মানুষ বুঝেছেন, বিজেপি-কে ভোট দিয়ে তাঁরা ভুল করেছেন। এ বার সেই ভুল তাঁরা করবেন না। উপনির্বাচনের ফলে বলে দেবে, কী হতে চলেছে।’’
এই কথার উত্তরে পাল্টা সুকান্ত বলেন, ‘‘রাজ্যের মানুষ জানে, মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করে নন্দীগ্রামে চলে গিয়েছিলেন। যতই উপনির্বাচনে ফিরে আসুন না কেন, ঘটনাটি বেইমানিই থাকে। আমরা একটি পরিকল্পিত চিন্তা থেকে জগন্নাথ সরকারকে দাঁড় করিয়েছিলাম। সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি, তাই নতুন করে ভাবতে হয়েছে। শান্তিপুরের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। তৃণমূলের কথায় ভুলছেন না।’’