Bikash Bhawan

অর্থের নিয়ন্ত্রক বিকাশ ভবনই, বিরোধিতায় সরব শিক্ষকেরা

শুক্রবার কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, নেতাজি সুভাষ মুক্ত, প্রেসিডেন্সি–সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধিতার কথা জানালেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০১
বিকাশ ভবন।

বিকাশ ভবন। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এইচআরএমএস) দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। এই ব্যবস্থায় সব শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর বেতন, পেনশন, পিএফ-সহ নানা আর্থিক কাজের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ভাবে থাকবে বিকাশ ভবনের হাতে। বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলি। শুক্রবার কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, নেতাজি সুভাষ মুক্ত, প্রেসিডেন্সি–সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিরোধিতার কথা জানালেন। শিক্ষকদের আশঙ্কা, এ বার থেকে প্রোজেক্ট, মউ-এর মতো বিষয়েও সম্মতি নির্ভর করবে বিকাশ ভবনের উপরে। বদলি, পদোন্নতির নিয়ন্ত্রণও উচ্চ শিক্ষা দফতরের হাতে চলে যেতে পারে।

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের অভিযোগ, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় বিষয়ের দখল রাজ্য সরকার নিজেদের হাতে নিতে চাইছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি সনাতন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এর পরে বড় প্রজেক্টের অর্থ অনুমোদন থেকে শুরু করে কিছু কিনতে গেলেও বিকাশ ভবনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার খর্ব হবে।’’ যদিও বিকাশ ভবনের এক আধিকারিকের যুক্তি, ইতিমধ্যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের কলেজগুলিকে এই ব্যবস্থায় আনা হয়েছে। সেখানে স্বাধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেনি!

Advertisement
আরও পড়ুন