BEd Colleges

পুনর্নবীকরণ ছাড়াই চালানো যাবে বিএড কলেজ

বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগ একটি ধারাবাহিক পদ্ধতি। কলেজগুলিকে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এর সঙ্গে পুর্ননবীকরণ বা কলেজে পড়ুয়া ভর্তির কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৫
college.

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আজ, শনিবার রাজ্যের বিএড কলেজগুলির পুনর্নবীকরণের শেষ দিন। পুনর্নবীকরণের সমস্ত শর্ত পূরণ না-করতে পারায় বহু কলেজেরই পুনর্নবীকরণ হবে না বলে জানা গিয়েছে। মূলত সময়মতো শিক্ষক নিয়োগ না-করায় এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু বিএড কলেজকে।

Advertisement

বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগ একটি ধারাবাহিক পদ্ধতি। কলেজগুলিকে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। এর সঙ্গে পুর্ননবীকরণ বা কলেজে পড়ুয়া ভর্তির কোনও সম্পর্ক নেই।

সোমা বলেন, ‘‘পুনর্নবীকরণের জন্য ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনটিসিই) যে-শর্ত দিয়েছে, সেই শর্ত পূরণ না হলে পুনর্নবীকরণের জন্য লিঙ্ক খুলে ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়ে আটকে যাবে কলেজগুলি। শর্তগুলির মধ্যে অন্যতম হল ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত ঠিক রাখা। তাই এখানে আমাদের কিছু করার নেই। যে সব কলেজে এখনও অনেক শিক্ষক নেই, তারা যেন ধারাবাহিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যায়।’’

পুনর্নবীকরণের জন্য যে সব বিএড কলেজ লিঙ্ক পায়নি তাদের একাংশ রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেই বেনিয়মের অভিযোগ এনেছে। ওই সমস্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পুনর্নবীরণের জন্য যাঁরা লিঙ্ক পেয়েছেন, তাঁরাও পুনর্নবীকরণের সব শর্ত মানেননি। যাঁরা পুনর্নবীকরণ করতে পেরেছেন, এ রকম বেশ কিছু কলেজের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। বেনিয়ম করে পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করেছে একটি বিএড কলেজ। সোমা বলেন, ‘‘বেনিয়মের সব অভিযোগ মিথ্যা। সব নিয়ম মেনেই হয়েছে।’’

কেন সময় মতো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি, সেই প্রশ্নও উঠেছে। সোমার প্রশ্ন, ‘‘অনেক কলেজে হয়তো দেখা গিয়েছে যে, ১৬ জনের জায়গায় মাত্র ছ’জন আছেন। আমাদের প্রশ্ন হল, কী ভাবে মাত্র ছ’জন শিক্ষক নিয়ে এই কলেজগুলো চলছে?’’

আরও পড়ুন
Advertisement